ঢাকা, শনিবার ২১, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৪০:৩৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

গর্ভাবস্থায় যে ৫ ফল নিয়মিত খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক 

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০৮ এএম, ৭ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

গর্ভাবস্থায় ডায়েটের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। এই সময়ে এমন কিছু ফল খেতে হবে যা কিনা শরীরকে সুস্থ রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। জানুন ৫টি ফল সম্পর্কে যেগুলো অবশ্যই খেতে হবে। 

কমলালেবু​

কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আয়রন শোষণেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কমলা খেলে যে রক্তল্পতার ফাঁদ এড়ানো যাবে, তা তো বলাই বাহুল্য!
 

শুধু তাই নয়, এই ফল হল ফলিক অ্যাসিডের ভাণ্ডার যা কিনা ভ্রূণের বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই ভাবী সন্তানের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই ফলকে দ্রুত ডায়েটে জায়গা করে দিন। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

সুপারফুড অ্যাভোকাডো​

সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা অ্যাভোকাডোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আর এর পেছনে বিস্তর কারণও রয়েছে। যেমন ধরুন- এই ফল হল ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, ফাইবার, কোলিন, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামেরসহ একাধিক উপকারী উপাদানের আঁতুরঘর। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে যে গর্ভবতী নারীর পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবেই।


কলা

কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত কলা খেলে যে ভাবী মায়ের শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি মিটে যাবে, তা সহজেই অনুমেয়।

এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই ফলে মজুত থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কাজেও সিদ্ধহস্ত। তাই গর্ভাবস্থায় এই সমস্যার প্রকোপ কমাতে চাইলে রোজ এতটা কলা খাওয়া মাস্ট।

বেরি জাতীয় ফল

ভাবী মায়ের ডায়েটে স্ট্রবেরি, ব্লুবের, ব়্যাপসবেরির মতো একাধিক বেরি জাতীয় ফল রাখতেই পারেন। এতেই মায়ের শরীরে কার্ব, ভিটামিন সি, ফাইবার এবং ফোলেটের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে। এমনকি এই ফলগুলো হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভানয়েডসের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে যে একাধিক ছোট-বড় রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য।

আপেলের জুড়ি মেলা ভার​

আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি, পটিশিয়ামের ভাণ্ডার। আর এই দুই উপাদান কিন্তু একাধিক জটিল রোগকে বশে রাখতে পারে। শুধু তাই নয়, এই ফলে মজুত রয়েছে পেকটিন নামক একটি উপাদান যা কিনা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ানোর কাজে একাই একশো। ফলে নিয়মিত এই ফল খেলেই গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো উটকে সমস্যার ফাঁদ এড়ানো সম্ভব হবে। তাই গর্ভাবস্থায় সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে দিনে একটা আপেল খেতে ভুলবেন না যেন।