মেঘনায় ট্রলার ডুবি : এখনও নিখোঁজ ২ শিশু
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:১৬ এএম, ৯ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
মুন্সীগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী সোনারগাঁও চিরকিশোরগঞ্জের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় শিশুসহ আরও ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) উদ্ধার অভিযানের তৃতীয় দিনে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপপরিচালক মো. ওবায়দুল করিম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা হলেন- সাব্বির হোসেন (৪০), জান্নাতুল মারোয়ার (৮) ও জান্নাতুল মাওয়া (৬)। নিহত সাব্বির রংপুরের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকতা করতেন। আর জান্নাতুল মারোয়া গজারিয়ার দক্ষিণ ফুলদি এলাকায় কাজী বোরহানের মেয়ে আর জান্নাতুল মাওয়া একই গ্রামের এই ঘটনায় নিহত হওয়া সুমনা আক্তারের বড় মেয়ে।
এদিকে, শনিবার মুন্সীগঞ্জ সদরের রমজান বেগ এলাকা থেকে সুমনা আক্তারের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ২ শিশু। তারা হলো- নিহত সুমনার ছোট মেয়ে সাফা এবং নিহত সাব্বিরের ২২ মাস বয়সী শিশু ইমাদ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ছুটির দিনে সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্বজনরা মিলে গজারিয়া থেকে মুন্সীগঞ্জ-নারায়গঞ্জের সীমান্তবর্তী চরকিশোরগঞ্জে ট্রলারযোগে ঘুরতে যায় ১১ জন আত্মীয়। ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় ফেরারপথে মেঘনা নদীর মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সীমান্তবর্তী সোনারগাঁও চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাতে আধারে অবৈধভাবে চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ অভিমুখে চলা বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় ট্রলারটি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় মফিজুল (৪০), তার খালা আকলিমা (৪৭), শিশু তিনা (৯), তাহিয়া (১০), সাফা (৪), রিয়াদ (২২) ও ট্রলার চালক রফিকুল সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হয় ৪ শিশুসহ ৬ জন।