ডাটাএন্ট্রি করে গোপালগঞ্জে চার কিশোরীর ৪৬৭০০০ টাকা আয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার
সংগৃহীত ছবি
গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া শেখ রাসেল দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের চার কিশোরী জমির খতিয়ান ডাটাএন্ট্রি অপারেটর পদে কাজ করে ৩ মাসে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭০ টাকার ভাতা পেয়েছেন।
পুনর্বাসন কেন্দ্রের কিশোরী মনিরা আক্তার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৫ হাজার ৮৪০টি খতিয়ান এট্রি করে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০০ টাকা, মোহনা আক্তার ৪ হাজার ৬২৬ টি খতিয়ান এন্ট্রি করে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৬৭ টাকা, মরিয়ম ৫ হাজার ২২৮টি খতিয়ান এন্ট্রি করে ১ লাখ ২৪ হাজার ১৬৫ টাকা এবং বনি মন্ডল ৩ হাজার ৯৮৯টি খতিয়ান এন্ট্রি করে ৯৪ হাজার ৭৩৮ টাকা ভাতা পেয়েছেন।
ওই চার কিশোরী জমির খতিয়ান ডাটাএন্ট্রি করে গত ৩ মাসে এ পরিমাণ টাকা রোজগার করেছে। তারা ভাতার টাকা পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
ভাতাপ্রাপ্ত কিশোরী মোহনা আক্তার বলেন, আমরা দুঃস্থ শিশু হিসেবে টুঙ্গিপাড়া শেখ রাসেল দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে বেড়ে উঠছি। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছেন। এখান থেকে কম্পিউটার শিখে দক্ষতা অর্জন করেছি। এখন আমরা ওই কেন্দ্রে থাকার বয়স অতিক্রম করেছি। পরে জেলা প্রশাসক আমাদের প্রতিষ্ঠিত করেত ডাটাএন্ট্রি অপারেটরের কাজ দেন। আমরা ৩ মাস সাফল্যের সাথে এ কাজ করেছি। আমরা সবাই প্রাপ্য ভাতার টাকা আয় বর্ধক কাজে বিনিয়োগ করব। উদ্যোক্তা হয়ে এখান থেকে আমদের ভাল আয় হবে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসাকের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম ওই চারজনের হাতে ভাতার টাকা তুলে দেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক)শেখ জোবায়ের আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) নাজমুন নাহার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রন্টি পোদ্দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, এই কিশোরীদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে সবধরণের সহযোগিতা করা হবে। তারা আগামীতে উদ্যোক্তা হবে। সে ভাবেই তাদের গড়ে তোলা হচ্ছে। উদ্যোক্তা হয়ে তারা সমাজে প্রতিষ্ঠত হবে।