ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ২১:৫২:২৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

গাজায় হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৫০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২০ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি হাসপাতালে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এই হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আল-আহলি নামের ওই হাসপাতালটিতে অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া দখলদার ইসরাইলিদের হামলা থেকে বাঁচতেও অনেক মানুষ ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিলেন। এ ছাড়া অনেকেই হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


হামলার শিকার হাসপাতালটিতে ইসরায়েলের হামলায় আহতসহ শত শত রোগী ভর্তি ছিলেন। এ ছাড়া বাস্তুচ্যুত হওয়া অনেক ফিলিস্তিনিও সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ।

হামাসের গণমাধ্যম দপ্তর ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, হামলার পর সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

হাসপাতালে হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগেরি বলেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’

এদিকে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় ৩ দিনের শোক ঘোষণা করেছেন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

এর আগে গত ১১ দিন ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৩ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল উপত্যকাটির কর্তৃপক্ষ। হামলায় অন্তত সাড়ে ১২ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এরমধ্যেই হাসপাতালে চালানো হলো ভয়াবহ হামলা।

ভয়াবহ এই হামলার দায় এখনো স্বীকার করেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তারা বলেছে, হামলার বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, হামলার পর সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আল জাজিরার টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত ফুটেছে দেখা গেছে, হাসপাতালের প্রায় সব জায়গায় মানুষের রক্ত পড়ে আছে। যেগুলো তখনো শুকায়নি।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান