গাজায় নিহত বেড়ে সাড়ে ৩ হাজার, শেষ খাবার ও পানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৯:৫৭ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
সংগৃহীত ছবি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৭৮ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এবং স্কুল ও হাসপাতালের মতো স্থানেও হামলার ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলা ও অভিযানে গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৪৭৮ জনে পৌঁছেছে এবং আহত হয়েছেন আরও ১২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কেদরা এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরিসংখ্যান ঘোষণা করার সময় ‘চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের গুরুতর পরিণতির’ ওপর জোর দেন। আল-কেদরা জোর দিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যার ধারাবাহিকতা জাতিগত নির্মূলের মতো কাজ এবং এটি ফিলিস্তিনি অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৪৭৮ জন মারা গেছেন এবং বিভিন্ন মাত্রার আঘাতে ১২ হাজার ৬৫ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ। হামলার শিকার শত শত ফিলিস্তিনি এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে মঙ্গলবার ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই এক হামলায় একসঙ্গে ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরে জানানো হয় হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৭১ জন।
আল-আহলি আরব নামের ওই হাসপাতালটিতে অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এছাড়া দখলদার ইসরায়েলিদের হামলা থেকে বাঁচতেও অনেক মানুষ ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিলেন।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার হাসপাতালের ওপর এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। ইসরায়েল অবশ্য বিমান হামলার দায় অস্বীকার করেছে। তবে বুধবারের এই পরিসংখ্যানে হাসপাতালে বোমা হামলার হতাহতের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।