ঢাকা, শুক্রবার ১৫, নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪৬:৩২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় হামুন, সমুদ্র উত্তাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৫৩ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে চট্টগ্রামে সকাল থেকেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে, সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার জেলা আজ মঙ্গলবার বিকাল থেকেই বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

সন্ধ্যার পর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় হামুন।

বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করায় উপকূলবর্তী জেলাসমূহে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন।

উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করার পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছেন তারা।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ কিছুটা দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং সন্ধ্যায় আরও দুর্বল হয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

চট্টগ্রাম জেলায় সকাল থেকেই বৃষ্টিপাত চলছে তবে সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে থাকে সেইসাথে সমুদ্র বেশ উত্তাল অবস্থায় আছে।

সন্ধ্যার পর থেকে উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করলেও ঝড়টি পুরোপুরি উপকূলে উঠে আসতে আট-দশ ঘণ্টা লাগবে বলে আবহাওয়া অধিদপফতর জানিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রায় সাড়ে চারশো আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার কথা জানান জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

আরও সাড়ে তিনশ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট, শিশু খাদ্য ও গবাদিপশুদের খাবারের বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম।

অনেক মানুষ এসব আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সন্দ্বীপ সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে এমন আশঙ্কা থেকে সেখানে বাড়তি প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

সারা জেলায় প্রায় নয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক মাইকিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে।

সেইসাথে গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজারে সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি থেকে হালকা বৃষ্টিপাত চললেও বিকেল থেকে বৃষ্টিপাতের বেগ বাড়তে থাকে এবং সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তীব্র বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

সন্ধ্যা থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে কক্সবাজার শহর। এ অবস্থায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় মোমবাতি ও টর্চলাইটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম।

ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে গতকাল থেকেই জেলার ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে ৯৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে অন্তত ২৯ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। সেখানে শুকনো খাবার ও খিচুরি রান্নার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য আজ দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইকিং করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের আশঙ্কা আছে।

আবহাওয়ার সবশেষ বুলেটিনে চট্টগ্রামের মতো কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।