গাজায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিশুর প্রাণ নিয়েছে ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:২০ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অনবরত হামলায় সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।
সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে সংঘাতে যত শিশু নিহত হয়েছে, গাজায় গত ৩ সপ্তাহে তার চেয়ে বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
তারা জানায়, এই হামলায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে এক হাজারেরও বেশি শিশু। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখন্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। জবাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। গাজায় ইসরায়েলের অনবরত বিমান হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।
সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে চালানো ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩ হাজার ১৯৫টি শিশু নিহত হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর সারা বিশ্বে সংঘাতের কারণে যত শিশু নিহত হয়েছে, এই সংখ্যা তার চেয়েও বেশি।
এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে সংস্থাটি জানায়, গাজায় নিহত শিশুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, এখনো এক হাজার শিশু নিখোঁজ। তাদের বেশির ভাগই ইসরায়েলি বোমা হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গাজায় আরও এক হাজার শিশু নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকতে পারে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি শিশু। এছাড়া ছয় হাজারের বেশি শিশু আহত হয়েছে।
অপরদিকে, হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। বেশিরভাগই ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় নিহত হয়।
ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ আরোপ করেছে। যা ২০০৭ সাল থেকে উপত্যকায় জারি থাকা অবিরোধের তুলনায় অনেক বেশি কঠোর। চলমান অবরোধে গাজায় খাবার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানিসহ সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল এবং ২১ অক্টোবর থেকে মিশরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে অল্প পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে।
বিদ্যুৎ ও ওষুধের অভাবে গাজার হাসপাতালগুলো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পারছে না। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যব্যবস্থা ‘সম্পূর্ণ ভেঙে’ পড়েছে বলে জানিয়েছে। এ পরিস্থিতি মানুষজনের জীবনকে আরও বিপন্ন করে তুলেছে, যার মধ্যে শিশুও রয়েছে।