জেলহত্যা দিবসে আ.লীগের শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:২৭ এএম, ৩ নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় শহিদ জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে তারা সন্ত্রাসী দল। ঢাকায় তারা যে রক্তপাত ও তাণ্ডব ঘটিয়েছে, এটি তারই প্রমাণ। এর পর এই সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সংস্থা তারা সংলাপ করলে এটি তাদের বিষয়। বিএনপি ফের অবরোধ দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সতর্ক পাহারায় আছি। পাহারা জোরদার করা হবে।
এ সময় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান, শাহজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপদপ্তর সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এর কিছু দিন পরেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন এই চার নেতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী। আর এএইচএম কামরুজ্জামান খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।