ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১, নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০১:০৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হকের জন্মদিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০২৩ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আজ ৫ নভেম্বর, কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হকের ৮৩তম জন্মদিন। ১৯৪০ সালের তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) যশোর জেলার চুড়িপট্টি গ্রামের এক মুসলমান পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সহধর্মিণী।

আনোয়ারা সৈয়দ হকের বাবা গোলাম রফিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন একজন ব্যবসায়ী ও মা আছিয়া খাতুন ছিলেন গৃহিণী। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে যশোরে। তার পাঠদানের হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। চুড়িপট্টির মোহনগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। মধুসূদন তারাপ্রসন্ন উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক ও ১৯৫৮ সালে মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্কুল ও কলেজ থকে আইএসসি পাস করেন। ১৯৫৯ সালে আনোয়ারা ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে তিনি এমবিবিএস পাস করেন। পরে ১৯৭৩ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন যান। সেখান থেকে ১৯৮২ সালে মনোবিজ্ঞানে এমআরসি ডিগ্রি লাভ করে দেশে ফেরেন আনোয়ারা সৈয়দ হক।

১৯৮৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে মনোরোগ বিভাগে সহকারী প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন ঢাকার মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও প্রভাষক।

১৯৯৮ সালে আনোয়ারা সৈয়দ হক ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে অবসর নেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ও স্কটল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সাল থেকে তিনি ঢাকার বারডেম হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের প্রভাষক ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত আছেন।

১৯৬৫ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সৈয়দ হক ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ফুসফুসে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির দুই সন্তান। মেয়ে বিদিতা সৈয়দ হক একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক। ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হক একজন আইটি বিশেষজ্ঞ, গল্পকার ও গীতিকার।

১৯৫৪ সালে দৈনিক সংবাদে আনোয়ারার প্রথম ছোটগল্প ‘পরিবর্তন’ প্রকাশিত হয়। ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের কচি কাচার আসরে নিয়মিত লিখতেন। মাইকেল মধুসূদন কলেজে পড়াকালীন দৈনিক আজাদ, মাসিক মোহাম্মদী ও গুলিস্তা পত্রিকায় তার লেখা গল্প, কবিতা প্রকাশিত হত। তার প্রথম উপন্যাস ১৯৬৮ সালে সচিত্র সন্ধানীতে প্রকাশিত হয়। তার সেই প্রেম সেই সময় ও বাজিকর উপন্যাসে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বর্ণিত হয়েছে।

উপন্যাস ছাড়া তিনি শিশুদের জন্য সাহিত্য রচনা করেছেন। ১৯৭৭ সালে ছানার নানার বাড়ি, বাবার সাথে ছানা (১৯৮৬), ছানা এবং মুক্তিযুদ্ধ (১৯৮৭), ১৯৯০ সালে তৃপ্তি, আবেদ হোসেনের জ্যোৎস্না দেখা, ১৯৯২ সালে হাতছানি, আগুনের চমক এবং মুক্তিযোদ্ধার মা নামক শিশুতোষ গল্প ও উপন্যাসগুলি প্রকাশিত হয়।

১৯৬৫ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি সৈয়দ হকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। সৈয়দ হক ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির দুই সন্তান। মেয়ে বিদিতা সৈয়দ হক একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক। ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হক একজন আইটি বিশেষজ্ঞ, গল্পকার ও গীতিকার।

সাহিত্য চর্চায় অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ২০০৭ সালে কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার, ২০০৬ সালে ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার-সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।