ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার
সংগৃহীত ছবি
সামনেই আসছে শীত। এই সময়ে মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। কারণ ঠান্ডার দিনে বায়ুদূষণ বাড়বে। দূষণের কারণে ডাস্ট অ্যালার্জি হবে অনেকের। এই অসুখ থাকলে শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা লেগে যাওয়া ইত্যাদি নানা গুরুতর সমস্যা দেখা যেতে পারে। তবে ডাস্ট অ্যালার্জি কিছু ঘরোয়া কৌশলেই মিটিয়ে ফেলা যায়। তাই সতর্ক হয়ে যান।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, আসলে অ্যালার্জি এক অদ্ভুত জিনিস। কিছু জিনিসের বিরুদ্ধে শরীর নিজের মতো করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তবে সেই প্রতিরোধ না গড়ে তুললেও শরীরের তেমন সমস্যা হয় না। তবে কোনও কারণ ছাড়াই এই অহেতুক লড়াই দিতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়ে যায়। এই জটিলতার নাম অ্যালার্জি।
এবার মাথায় রাখতে হবে যে ডাস্ট অ্যালার্জি কিন্তু সকলের থাকে না। তবে যাঁদের থাকে, তাঁরা খুব ভোগেন এই অসুখে। এর লক্ষণ (Dust Allergy Symptoms) হিসাবে থাকে হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে জল গড়ানো, গলা ব্যথা, মাথায় ব্যথা, অ্যাজমা ইত্যাদি। তাই এই অসুখ থেকে আপনাকে বেরনোর রাস্তা জানতে হবে।
ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়গুলো-
১. সাইট্রাস ফল
সাইট্রাস ফল হল ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। এই ভিটামিন শরীরে ইমিউনিটির উপর কাজ করে। ইমিউনিটি যেমন বাড়ে, তেমনই তা সঠিক পথে চালিত হয়। তাই এই খাবারটি খান ডাস্ট অ্যালার্জি থাকলে।
১. মধু
মধু স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি, তা আমরা সবাই জানি। তবে আমরা হয়তো অনেকেই জানি না, মধু ডাস্ট অ্যালার্জির চিকিৎসার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সহায়ক। গবেষণা অনুযায়ী, মধু পরিবেশে উপস্থিত অ্যালার্জেনের সাথে শরীরকে খাপ খাওয়াতে সহায়তা করে। কেবলমাত্র এক চা চামচ মধুর সেবন, হাঁচি বা কাশির থেকে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দিতে সক্ষম। মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান এবং আপনি অ্যালার্জির কারণে হওয়া ব়্যাশ কমাতেও এটি প্রয়োগ করতে পারেন।
২. প্রোবায়োটিক
ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে প্রোবায়োটিক অত্যন্ত উপকারি। অ্যালার্জি মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়ে থাকে। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যতা বজায় রাখতে এবং অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে, পর্যাপ্ত পরিমাণ উপকারি ব্যাকটেরিয়া গ্রহণ করুন। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে দই খেতে পারেন, কারণ এতে প্রোবায়োটিক রয়েছে।
৩. আপেল সাইডার ভিনেগার
ডাস্ট অ্যালার্জির ক্ষেত্রে আপেল সাইডার ভিনেগার অত্যন্ত উপকারি। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে, দিনে দুই-তিনবার পান করুন। উপকার হাতেনাতে পাবেন।
৪. স্টিম
ডাস্ট অ্যালার্জির চিকিৎসার ক্ষেত্রে অন্যতম উপায় হলো স্টিম নেয়া। একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিন এবং তার থেকে নির্গত বাষ্প নাক এবং মুখের সাহায্যে গ্রহণ করুন। এটা করার সময় মাথা টাওয়েল দিয়ে অবশ্যই ঢাকা রাখবেন। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের স্টিম নেয়ার যন্ত্র কিনতে পাওয়া যায়। কমপক্ষে ১০ মিনিট স্টিম নিন। এটি ন্যাসাল প্যাসেজ পরিষ্কার করে।
৫. ঘি
ডাস্ট অ্যালার্জির চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঘি অত্যন্ত কার্যকর। আধ চা চামচ ঘি নিন, তাতে পরিমাণ মতো গুড়ও যোগ করতে পারেন। অনিয়ন্ত্রিত হাঁচি কমাতে ঘি চেটে খেতে পারেন। অ্যালার্জির আক্রমণ হলেই এটি প্রয়োগ করতে পারেন। ঘিতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা অনুনাসিক পথ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং ক্রমাগত হাঁচি থেকেও স্বস্তি দেয়।
৬. অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা জেল ডাস্ট অ্যালার্জির উপসর্গ হ্রাসের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকর। ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস, দিনে দু’বার পান করুন। অ্যালোভেরাতে ব্যথানাশক এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা ডাস্ট অ্যালার্জির কারণে সৃষ্ট ব্যথা এবং ফোলাভাবের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি।