ঢাকা, শনিবার ২৩, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৫:২১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলো আফগানিস্তান

খেলাধুলা ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২১ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

হার দিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করলো আফগানিস্তান। আজ লিগ পর্বে নিজেদের নবম ও শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে আফগানরা। এতে লিগ পর্ব থেকেই বিশ্বকাপ শেষ করতে হলো আফগানিস্তানকে।

৯ ম্যাচে ৪ জয় ও ৫টি হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে আছে। তবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ আটের মধ্যে থাকায় প্রথমবারের মত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো আফগানিস্তান। ২০২৫ সালে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

আজমতুল্লাহ ওমরজাইর হাফ-সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান করেছে আফগানিস্তান। ১০৭ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। জবাবে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের অনবদ্য ৭৬ রানে ১৫ বল বাকী থাকতেই জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জয় দিয়ে লিগ পর্ব শেষ করলো প্রোটিয়ারা। ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকা।

আহমেদাবাদ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ৮ ওভারে ৪১ রান তুলেন দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তবে ভলো শুরুটা ধরে রাখতে পারেনি আফগানিস্তান। ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে পেসার জেরাল্ড কোয়েৎজি ৪৪ রানে ৪ উইকেট নেন। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ১৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এ ইনংস দিয়ে  বিশ্বকাপ এক আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে  সর্বোচ্চ শিকারীর রেকর্ড গড়লেন কোয়েৎজি।

এই ইনিংসে ৬টি ডিসমিসাল করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক। এতে বিশ্বকাপে এ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬টি ডিসমিসালে অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্ট, পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ ও মার্ক বাউচারের রেকর্ড স্পর্শ করলেন  ডি কক। এবারের বিশ্বকাপে সর্বমোট ১৯টি ডিসমিসাল করেছেন তিনি। এতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এক আসরে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ডও গড়লেন ডি কক।

জয়ের জন্য  ২৪৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দারুন সূচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ ওভারে ৬৪ রান স্কোর বোর্ডে জমা করেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও তেম্বা বাভুমা। ৩টি চারে ২৩ রান করা বাভুমাকে শিকার করে আফগানিস্তানকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার মুজিব উর রহমান। আরেক স্পিনার নবির শিকার হন ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৭ বলে ৪২ রান করা ডি কক। এই ইনিংসের সুবাদে নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্রকে সরিয়ে আবারও চলতি  বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৫৯১ রানের মালিক হলেন ডি কক।

২ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৬০ বলে ৫০ রান তুলে দলকে চাপমুক্ত করেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও আইডেন মার্করাম। ২৫ রান করা মার্করামকে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন আরেক স্পিনার রশিদ।

এরপর চতুর্থ উইকেটে হেনরিচ ক্লাসেনের সাথে ২৩ ও পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ৪৩ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের আশা ধরে রাখেন ডুসেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯৫ বলে ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন  ম্যাচ সেরা ডুসেন। আফগানিস্তানের নবি ও রশিদ ২টি করে উইকেট নেন।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান : ২৪৪/১০, ৫০ ওভার (ওমারজাই ৯৭*, নূর ২৬*, কোয়েৎজি ৪/৪৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২৪৭/৫, ৪৭.৩ ওভার (ডুসেন ৭৬*, ডি কক ৪১, নবি ২/৩৫)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে জয়ী।