রাজধানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক, বিভিন্ন মোড়ে সতর্ক পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:২৪ এএম, ১২ নভেম্বর ২০২৩ রবিবার
সংগৃহীত ছবি
বিএনপি-জামায়াতের চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রভাব নেই রাজধানীর জনজীবনে। সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোতায়েন রয়েছেন পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়ছে। রাজধানীর মতিঝিল, গাবতলীর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কর্মজীবীরাও কর্মস্থলে যেতে শুরু করেন। গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অনেক গাড়ি দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, কাঁটাবন, বাটা সিগন্যাল, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, আজিমপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সড়কে মানুষ ও গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের মতো। এসব এলাকায় অবরোধের তেমন কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। বাস, মিনিবাস, লেগুনা, সিএনজির পাশাপাশি চলাচল করতে দেখা গেছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও স্টাফ বাস। এছাড়াও জরুরি খাদ্য পরিবহন, ওষুধ সরবরাহসহ জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন গাড়িকে সামনে ব্যানার লাগিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
অবরোধ ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে এবং গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে নিউমার্কেট থানা, ধানমন্ডি মডেল থানার পাশাপাশি সড়কের উভয় পাশেই অবস্থান নিতে দেখা গেছে ডিএমপির পুলিশ সদস্যদের।
নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গনি সাবু গণমাধ্যমকে বলেন, অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। মানুষজন স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। এই এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবনতি যেন না ঘটে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। অবরোধের সমর্থনে এখন পর্যন্ত এ এলাকায় কোনো ধরনের কর্মসূচি হয়নি বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকার পতনের এক দফা দাবিতে এর আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। আর আজ থেকে শুরু হলো চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ।