ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬, নভেম্বর ২০২৪ ১৬:২২:৫৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ঢিলেঢালাভাবে চলছে বিএনপির ডাকা অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২১ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সারাদেশে চতুর্থ দফায় দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে দলগুলো।
আজ সোমবার ভোর থেকে সড়কে যানবাহন কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে। বাসের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাতেও চাকরিজীবী ও কর্মজীবীরা তাদের গন্তব্যে যায়।

এর আগে, গতকাল সকালে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, ফার্মগেট, যাত্রাবাড়ীতে গণপরিবহন কম চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করেছে সড়কে।

অবরোধের কারণে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছে পুলিশ। যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে বাড়তি নজরদারি। সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকার আশপাশের জেলায়ও মোতায়েন করা রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।

এদিকে অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর মহাখালী, বনানী, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সাভারের বলিয়ারপুরে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাতে এসব ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বনানীতে দগ্ধ একজনকে ভর্তি করা হয়েছে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে।

তেজগাঁও ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ নাজিমুদ্দিন সরকার জানিয়েছেন, রাত ৮টা ২০ মিনিটে মহাখালীর নাবিস্কো কারখানার সামনে শ্যামলী বাংলা পরিবহনের বাসে আগুনের খবর পাওয়া যায়। পরে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ছাড়া রাত ১০টার দিকে বনানীতে বাংলাদেশ বিমানের স্টাফ বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে মানিক দাস নামে একজন দগ্ধ হয়েছেন। তিনি বিমানের ক্লিনার হিসেবে কাজ করতেন। আবার রাজধানীর মুগদায় একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশের দিন থেকে ৯ নভেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১২৩টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর ১টি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১০টি এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর মোট ১৩টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ হামলার অভিযোগ করে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতাল ডাকে দলটি। পরে সেই হরতালে সমর্থন জানান জামায়াতে ইসলামী।

একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিনদিন সর্বাত্মক অবরোধ ডাকে দল দুটি। পরে দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৬ নভেম্বর এবং তৃতীয় দফায় ৮ থেকে ৯ নভেম্বর অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত। পরে তৃতীয় দফা অবরোধের শেষদিন বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন করে রোববার (১২ নভেম্বর) ও সোমবার (১৩ নভেম্বর) টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রুহুল কবির রিজভী।

এসব কর্মসূচি চলাকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর গ্রেপ্তারের বাইরে থাকা নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।