ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ০:৩২:৩৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভয়ংকর এই অ্যাপ ঢুকে পড়েছে ৬০ কোটি স্মার্টফোনে

প্রযুক্তি ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৯ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম ক্যাসপারস্কির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬০ কোটি স্মার্টফোনে ঢুকে পড়েছে ভয়ংকর একটি অ্যানড্রয়েড অ্যাপ। গুগলের চোখ ফাঁকি দিয়ে অ্যাপটি আগেভাগেই জায়গা করে নিয়েছিল প্লে স্টোরে। সেখানে থেকেই বিপুল ডাউনলোড হয়েছে। যদিও গুগলের পক্ষে বলা হয়েছে, অ্যানড্রয়েড ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যতদূর যা করার, তারা সবকিছুই করছে।

ক্যাসপারস্কির একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে স্টোর থেকে ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটিরও বেশি ক্ষতিকারক অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। অ্যানড্রয়েড মতো একটি প্ল্যাটফর্মের জন্য বিষয়টি সত্যিই বিপজ্জনক। তার কারণ বিশ্বের কোটি কোটি ব্যবহারকারী অ্যানড্রয়েডডিভাইস ব্যবহার করেন।


গুগল জানিয়েছে, ম্যালওয়্যার হানা থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করা তাদের মূল লক্ষ্য। তার জন্য প্লে প্রটেক্ট নামের একটি নতুন বৈশিষ্ট্যও যোগ করা হয়েছে। এই ফিচারটিই বিপজ্জনক অ্যাপসগুলো থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষিত রাখতে পারে। তবে ক্যাসপারস্কির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষতিকর অ্যাপসগুলোর মোকাবিলা করার এই চ্যালেঞ্জ কখনও গুগলের জন্যও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

ক্যাসপারস্কি আরও উল্লেখ করেছে, এই অ্যাপনগুলোর বেশিরভাগই চুপিসাড়ে স্ক্যানিংয়ের জন্য প্লে স্টোরে প্রবেশ করে। পরবর্তী আপডেটগুলো আসার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাপসগুলো ম্যালওয়্যার দ্বারা সংক্রামিত হয়। সেখান থেকেই বিপজ্জনক পরিস্থিতির সূত্রপাত। ম্যালওয়্যার সংক্রামিত সেই অ্যাপসগুলোই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে।

ক্যাসপারস্কি বলছে, অ্যানড্রয়েডের এই ম্যালওয়্যার সমস্যা নতুন কিছু নয়। এর আগেও আইরেকর্ডারের মতো অ্যাপ আক্রমণকারীদের দক্ষতার নিদর্শন দেখিয়েছে। সেই সময়ই দেখা গিয়েছিল, গুগলের অ্যাপ স্টোর সিকিওরিটি স্ক্যানগুলো বাইপাস করতে পারে এই অ্যাপটি। স্লিমিং ফটো এডিটর, ফটো ইফেক্ট এডিটর এবং জিআইএফ ক্যামেরা এডিটর প্রো-এর মতো অ্যাপসগুলোও আক্রমণকারীদের দেখায় যে, আজকাল ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনে কী ব্যবহার করেন এবং কী ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। ব্যবহারকারীদের সেই পছন্দকে কাজে লাগিয়েই তাদের স্মার্টফোন ম্যালওয়্যার দিয়ে সংক্রামিত করে প্রতারকরা।