ঢাকা, সোমবার ১৮, নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৫:৪২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

লিচু খাওয়ার উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪.কম

প্রকাশিত : ১০:৩১ পিএম, ২৫ জুন ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০১:৫৭ পিএম, ২৭ জুন ২০১৮ বুধবার

এই গরমের অন্যতম সুস্বাদু ফল লিচু। খুব অল্প সময় থাকে বলে এর চাহিদা অনেক বেশি। ছোট বড় সব বয়সের মানুষই এই সুস্বাদু ফল খেতে পারে। সুস্বাদু ফল ছাড়াও লিচুর রয়েছে অনেক উপকারিতা।

 

আসুন জেনে নেই লিচুর পুষ্টি ও গুণের কথা।


.. লিচুতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। রক্তের শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে ভিটামিন সি। লিচু খেলে আপনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এছাড়া গরমের সময় দেহে যেসব রোগের আশঙ্কা থাকে, সেসব প্রতিরোধেও লিচু কার্যকর।

..লিচুতে আছে পর্যাপ্ত ইবার। হজম হওয়া থেকে শুরু করে বর্জ্য অপসারণ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া মসৃণ করে এ ফলের ফাইবার। কাজেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় অনায়াসে।

..লিচুতে রয়েছে পলিফেনোলিক এবং প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন্স উপাদান। এগুলো কিন্তু দেহের বিষাক্ত উপাদান সরাতে কার্যকর।

..লিচুতে রয়েছে কপার। এটি আরেকটি খনিজ, যা রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখে। এছাড়া লিচু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর।

.. লিচু খেলে নানারকম চর্মরোগ ও স্কার্ভি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাছাড়া এটি ত্বক উজ্জ্বল করতে ও বলিরেখা কমাতেও সাহায্য করে।

.. প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ১০ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম রয়েছে। ক্যালসিয়াম দেহের হাড় গঠন করে ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। লিচুতে অল্প পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৭ মি.গ্রা লৌহ।

.. শক্তির ভালো উৎস লিচু। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচু থেকে ৬১ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।

.. লিচু শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

.. লিচুতে খাদ্য হজমকারী আঁশ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা শরীরে জমে থাকে ও দেহ সুস্থ রাখে ।

.. লিচুর অলিগোনল নামের উপাদান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা হিসেবে কাজ করে। এ উপাদান রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, ত্বকে ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমায়।


.. লিচু মানবদেহে ক্যান্সার হওয়ার প্রবনতা হ্রাস করে। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করে। এতে অবস্থিত ফ্ল্যাভানয়েডস নামক উপাদান স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।


.. লিচুতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।