মেহের আফরোজ চুমকির সম্পদ বেড়েছে ২০ গুণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০১ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
গাজীপুর-৫ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি। অতীতেও মেহের আফরোজ চুমকি এই আসনে পর পর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একবার তিনি সংরক্ষিত নারী আসনেও হয়েছেন সংসদ সদস্য।
মেহের আফরোজ চুমকি ২০০৮ সালে ছিলেন স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ৪২ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সম্পদের মালিক। এসব সম্পদের মধ্যে ছিল ব্যাংকে জমা ৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা, ২০ হাজার টাকার স্বর্ণ, ৩০ হাজার টাকার আসবাবপত্র, এক লাখ ৮৫ হাজার টাকার দালানকোঠা এবং ঢাকায় ৩০ লাখ ৫১ হাজার টাকা মূল্যের একটি পাঁচতলা বাড়ি। ওই সময় তিনি ছিলেন গৃহিণী। তখন তার একমাত্র বাড়ি ভাড়া খাতে আয় ছিল বছরে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। ১৫ বছরের ব্যবধানে ২০২৩ সালে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ১৯.৫ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দেওয়া হলফনামায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামা তথ্য বলছে, বছরে আয় করেন ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এই আয়ের মধ্যে রয়েছে বাড়ি ভাড়া ছয় লাখ ৫০ হাজার ও সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা ও সম্মানী ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার ব্যাংকে রয়েছে তিন কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। নগদ ৩৮ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ২০ হাজার টাকার স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক ও আসবাবপত্র মিলিয়ে ৫৫ হাজার টাকা, তিন কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি। তার কোনো গাড়ি নেই। তবে ২০১৮ সালে চুমকির স্বামী দুই কোটি সাত লাখ ৭৬ হাজার টাকার স্বাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক ছিলেন। তার বাড়ি ভাড়া খাতে সাত লাখ ২০ হাজার ও চাকরি খাতে ১৪ লাখ মিলিয়ে বার্ষিক আয় ছিল ২১ লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু ২০২৩ সালে তার কোনো আয় বা সহায়-সম্পদ নেই বলে হলফনামায় দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গত ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।