গাজায় আটকে গেল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:২৬ এএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো (আমি মানি না) দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি আটকে গেছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় প্রস্তাবটি তোলা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবটি উত্থাপন করলেও এর সহপৃষ্ঠপোষক ছিল অন্তত ৯৭টি দেশ। এ দিন ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৩টি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিলে আটকে যায় প্রস্তাবটি।
আরব নিউজ জানিয়েছে, গাজায় সহিংসতা বন্ধ করতে অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক আহ্বানের মধ্যে ওয়াশিংটনের এই ভেটো আসলো। প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার পক্ষে যুক্তি হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত রবার্ট উড বলেছেন, প্রস্তাবটি ভারসাম্যপূর্ণ নয়। এতে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদকে অকার্যকর করে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছে রাশিয়া। এর ফলে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি।
তিনি বলেন, আবারও আমেরিকার কূটনীতি পোড়ামাটি নীতির প্রতি সমর্থন জানাল এবং এ কারণে এই ধ্বংসযজ্ঞ। ওয়াশিংটন ‘সাধারণ বোধবুদ্ধির’ পরিচয় দিতেও ব্যর্থ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। পরে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত ২৪ নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যা চলে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সূত্র : বিবিসি, আরব নিউজ