ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ৩:৪১:২৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কুড়িগ্রামে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার পেলেন ফরিদা পারভীন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন নারী নেত্রী ফরিদা পাররভীন। শনিবার  আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফরিদা পারভীনের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এ সম্মাননা তুলে দেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে একান্ত সাক্ষাতকারে ফরিদা পারভীন বলেন, ভুরুঙ্গামারী মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করে ভুরুঙ্গামারী সরকারি কলেজে ডিগ্রীতে ভর্তি হই। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হই। এরই ধারাবাহিকতায় ভুরুঙ্গামারী উপজেলা যুবলীগ ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলাম। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হই। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে নিয়োজিত আছি। 
১৯৯৬ সালে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ৩ জন মহিলা সদস্যকে সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেন। আমি ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা আসনে (৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ইউপি মহিলা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হই।
নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার গরীব, দুঃখী ও মেহনতী মানুষের জীবন ও মান উন্নয়নের চেষ্টা করি। বিশেষ করে বাল্য বিবাহ বন্ধ নারীদের অধিকার আদায়, শিশুদের অধিকার আদায়ে কাজ করি। 
এর সাফল্য স্বরূপ জনগন আমাকে ২০০৯ ও ২০১৪ সালে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পর পর দুই বার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন এবং ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৪ মাস দায়িত্ব পালন করি। 
এ দশ বছরে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নলকূপ স্থাপন, এডিপি বরাদ্দ থেকে রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন সাধন করি। আমি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, নারীদের প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য অবসান, নারীদের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন, নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা ও শোষণ নির্মূলে আমার র্সবাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বয়স্ক ভাতা, বিধাব ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতার সঠিক প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য আমি কাজ করেছি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার উন্নয়নে বিশেষ করে মহিলা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 
জয়িতা সম্মাননা পুরস্কার সামনের অগ্রযাত্রায় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করি একেবারে অসহায় মানুষদের কে সহযোগিতা করার। তাদের পাশে দাঁড়াবার। চেষ্টা করি প্রতিদিনই কোন কোনো না কোন একটি ভালো কাজ করতে। কেননা আমি বিশ্বাস করি মানুষ বেঁচে থাকে তার ভালো কাজের মাধ্যমে।  
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্যমতে জানা গেছে, ভুরুঙ্গামারী উপজেলা ও আশপাশের পিছিয়ে পড়া নারীদের সামনে এগিয়ে আনার জন্য যে কয়জন নারী আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে রাজনৈতিক নেত্রী ও সমাজ সেবায় অতি পরিচিত একটি নাম ফরিদা পারভীন। খুব সহজেই মানব সেবায় নিজেকে যুক্ত করে নিয়েছেন তিনি। বলা যায় এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। তার বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দেওয়ানেরখামার গ্রামে। স্বামী  ডাঃ মোঃ আব্দুল জলিল সরকার উপজেলা প্রেসক্লাব ভূরুঙ্গামারীর সভাপতি ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ভুরুঙ্গামারী প্রতিনিধি।