শুষ্ক কাশি সারাতে যা করবেন
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৫৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
সংগৃহীত ছবি
দেশে ক্রমেই শীত বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে সর্দি-কাশির প্রকোপ। কাশতে কাশতে কফ উঠে বেরিয়ে গেলে আরামবোধ হয়, তেমন কোনো সমস্যাও হয় না। কিন্তু কফ শুকিয়ে যদি শুষ্ক কাশি শুরু হয়, সেটা বেশ বিরক্তিকরই বটে।
কাশতে কাশতে গলা-বুক ব্যথা হয়ে যায়, কিন্তু কফ বের হয় না, কাশিও যায় না। মনে হয় গলার মধ্যে কিছু একটা আটকে আছে। বিরক্তিকর এই শুষ্ক কাশি থেকে মুক্তির কি কোনো উপায় নেই? অবশ্যই আছে এবং সেগুলো আপনার ঘরেই মিলবে।
যেসব উপায়ে শুষ্ক কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন
গলা ভিজিয়ে রাখুন
গলার কাছে দলা পাকাতে থাকা শুকনো কাশি গলায় জমতে দেওয়া যাবে না। তার জন্য সারাক্ষণ গলা ভিজিয়ে রাখতে হবে। শুধু পানি খেতে ইচ্ছা না করলে যেকোনো তরল খেলেই হবে।
সারাদিনে নারীদের কমপক্ষে সাড়ে ১১ কাপ অর্থাৎ ২.৭ লিটার এবং পুরুষদের কমপক্ষে সাড়ে ১৫ কাপ অর্থাৎ ৩.৭ লিটার পানি খেতেই হবে। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমাতে যাওয়ার সময় উষ্ণ গরম পানি খেলে এই সমস্যা থেকে অনেকটাই আরাম মিলবে।
লবণ আর গরম পানির গার্গল
গলায় কফ আটকে থাকলে বা শুষ্ক কাশি হলে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করার বুদ্ধি বাড়ির মুরব্বিরাও দিয়ে থাকেন। এটি উপকারীও। লবণ আর গরম পানির এই মিশ্রণ দিয়ে গার্গল করলে গলার কাছে জমে থাকা কফ পাতলা করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন সকাল বেলা হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে গার্গল করলে শুষ্ক কাশির সমস্যা অনেকটাই কমে। সমস্যা যদি খুব গুরুতর হয়, সে ক্ষেত্রে দুই-তিন ঘণ্টা অন্তর গার্গল করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে এই লবণ মিশ্রিত পানি যেন পেটে না যায়।
পুদিনা পাতার চা
ঠান্ডা লেগে সর্দিকাশি হলে অনেকেরই নাক বন্ধ হয়ে যায়, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সেই সময় ‘মেন্থল’ আরাম দিতে পারে। পুদিনা পাতা দিয়ে বানানো চা এই ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে দারুন কাজ করে।
গরম পানির ভাপ
শ্বাসযন্ত্র ভালো রাখতে অনেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার মতোই গরম পানির বাষ্প নাক, মুখ দিয়ে নেন। এতে যেমন সাইনাস গ্রন্থিতে জমে থাকা কফ বা শ্লেষ্মা বেরিয়ে আসে, তেমন নাসারন্ধ্র থেকে শ্বাসনালির পথও পরিষ্কার থাকে।
কফি বা মদ থেকে দূরে থাকুন
সর্দি হলে বা ঠান্ডা লাগলে গরম পানীয় খেলে ভালো লাগে। চিকিৎসকরাও এমন পরামর্শ দেন। তাই বলে গরম পানির গাঢ় কফি একেবারেই নয়। আর্দ্রতা বজায় রাখতে অন্যান্য গরম পানীয় খেলেও অ্যালকোহল বা কফি শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি করে।