আগুনে দগ্ধ ফেনীর সেই কলেজছাত্রীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ রবিবার
সংগৃহীত ছবি
নিজের শরীরে আগুন দেওয়া ফেনীর সেই কলেজছাত্রী মাশকুরা আক্তার মুমু (১৯) মারা গেছেন। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান। নিহতের বাবা আবদুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে প্রেমিক এড়িয়ে চলায় অভিমানে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নিজের শরীরে নিজেই আগুন দেয় মেয়েটি।
নিহত মাশকুরা আক্তার মুমু ফেনী ন্যাশনাল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পরিবারের সঙ্গে শহরের পাঠান বাড়ি সড়কের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন সে। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার সদর উপজেলার রামনগর এলাকায়।
ঘটনার দিন মুমুর বাবা আবদুল মালেক বলেন, গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে মুমুর বিয়ের জন্য একটি প্রস্তাব আসে। এতে সে অসম্মতি জানিয়ে নাহিদ নামে এক সহপাঠীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানান। তখন থেকে আমি আর তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেইনি।
মুমুর বাবার দাবি, গত বছরের নভেম্বর মাসে নাহিদের ভাই লক্ষ্মীয়ারা বাজারে আমার সঙ্গে এসব নিয়ে কথা বলে। তার ভাই বলে নাহিদকে প্রবাসে পাঠিয়ে দেবে এবং প্রবাস থেকে ফেরা পর্যন্ত আমার মেয়ে যেন তার জন্য অপেক্ষা করে। এরপর এ বিষয়ে বিগত একবছরে আর কোন কথা বলিনি। পরে নাহিদ তাকে প্রত্যাখ্যান করে। সেই অভিমানে মুমু এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা তার বাবার।
স্থানীয়রা জানান, নাহিদ নামে এক ফল ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুমুর। তাদের মধ্যে কিছুদিন ধরে টানাপোড়েন চলছিল। সোমবার সকালে ওই এলাকায় যান মুমু। পরে লক্ষ্মীয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় সে।
পরবর্তীতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ মুমু নিজেই নিজের শরীরে সে আগুন দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে মুমুর প্রেমিক নাহিদ।
নাহিদের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতেন না দাবি করে তার ভাই নাসির উদ্দিন সোহেল বলেন, সোমবার এ ঘটনার পরই আমাদের পরিবার এ সম্পর্কের কথা জেনেছি। তাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারের পারিবারিক কথাবার্তার যে কথা ছড়িয়ে পড়েছে তা সত্য না।