পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ১২১তম জন্মবার্ষিকী আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
পল্লীকবি খ্যাত কবি জসীম উদ্দীনের ১২১তম জন্মবার্ষিকী আজ। বাংলা কবিতার প্রাণপুরুষ কবি জসীম উদ্দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুরের সদর উপজেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুতালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
জসীম উদ্দীন ছিলেন একজন আধুনিক মানের শক্তিশালী কবি। গ্রাম-বাংলার মাটি ও মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনাকে কেন্দ্র করে দরদি কবিতা, ছড়া, গীতিকবিতা ও উপন্যাসসহ সাহিত্য রচনা করেছেন জসীম উদ্দীন। তাই তাকে বলা হয় পল্লীকবি।
বাংলা ভাষার গীতিময় কবিতার উৎকৃষ্টতম নিদর্শনগুলোর অন্যতম তার ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ ও ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’। জসীম উদ্দীনের কবিতা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
এদিকে কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ফরিদপুরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে কবির বাসভবনে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে সকালে কবর জেয়ারত, দোয়া ও আলোচনা সভা।
সোমবার (১লা জানুয়ারি) সকাল ৮টায় কবি জসীম উদ্দীনের পারিবারিক কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এরপর সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বাসভবন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
কবি জসীম উদ্দীনের বাবা আনসারউদ্দিন মোল্যা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। মায়ের নাম আমিনা খাতুন ছিলেন গৃহিনী।
জসীম উদ্দীন প্রেসিডেন্টের প্রাইড অব পারফরমেন্স পুরস্কার (১৯৫৮), বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক (১৯৭৬) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে (মরণোত্তর, ১৯৭৮) ভূষিত হন। তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৭৬ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
কবির স্মৃতিকে সংরক্ষণ করতে কবির বাড়ির অদূরে অম্বিকাপুরে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অর্থায়নে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪ একর জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে পল্লী কবি জসীম উদ্দীন সংগ্রহশালা। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিবছর কবির জন্মবার্ষিকীতে আয়োজন করা হয় ‘জসীম পল্লীমেলা'।