কর্মজীবী নারীর জন্য টিপস
লাইফস্টাইল ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৩:৪৬ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:২২ এএম, ৪ জুলাই ২০১৮ বুধবার
এখনকার যুগে কর্মক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যানজটযুক্ত শহরে দিনের বেশির ভাগ সময়ই তাদের অফিস আর পথেই কেটে যায়। তাই তারা নিজেদের দিকেও খেয়াল রাখার সুযোগ পাননা। যেটা একেবারেই ঠিক নয়। নিজে একটু সচেতন থাকলেই কিন্তু সব সমস্যা থেকে বিরত থাকা যায়।
আজকের এ টিপসগুলো অনুসরণ করলে কর্মজীবী নারীরা যে কোন সমস্যা থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থভাবে সংসার আর চাকরি দুটোই সমান তালে চালিয়ে যেতে পারবেন। হবেন দু ক্ষেত্রেই আকর্ষণীয়া ।
সারা দিন চলাফেরার মধ্যে থাকা : যতটা সম্ভব কথা ও কাজের মধ্যে থাকার চেষ্টা করতে হবে। কথা বলার সময় দাঁড়িয়ে কথা বলা, লেখা বা টাইপিংয়ের কাজ না থাকলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করা যেতে পারে। দুপুরে খাবার পর কিছুটা হাঁটা যেতে পারে।
সুষম খাবার : দিনের বেশির ভাগ সময় হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও ফাস্টফুড আইটেম যথাসম্ভব পরিহার করা দরকার। এগুলো না খেযে খেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া উচিত।
মানসম্মত সকালের নাস্তা : স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য কর্মজীবী মহিলাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবারটা জরুরি। বিশেষ করে সকালের নাশতাটা হওয়া চাই ভালো। সকালের নাশতায় ফল রাখাটা জরুরি। তাজা ফলের পাশাপাশি এ সময় শুকনো ফলও খাওয়া যেতে পারে।
দুপুরে বাসার তৈরি খাবার : দুপুরে অনেকেই বাইরের খাবার খান। একটু কষ্ট করলেই কিন্তু বাসা থেকে খাবার বানিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। এতে খাবেরর মানও ভাল থাকে,শরীরও চাঙা থাকে।
ট্রেডমিলের ব্যায়াম : ট্রেডমিলে ১০ মিনিটের ব্যায়ামই যথেষ্ট। অবশ্য এ সময়ে তিন থেকে পাঁচ পাউন্ডের দুটি ডাম্বেল দুই হাতে থাকলে ভালো। এর পরপরই এক মিনিট করে বাইসেপ কার্ল, ট্রিসেপ, স্ট্যান্ডিং ট্রিসেপ করে নিলে ভালো। এ অনুশীলন আপনার শরীরের ওপরের ভাগে স্বাচ্ছন্দ্য আনবে।
পানি পান : শরীরের পরিপাক সঠিক হওয়ার জন্য সবারই প্রচুর পানি পান প্রয়োজন। যাতে শরীর পানিশূন্যতায় না ভোগে,তাই যাত্রাপথে সবসময় পানির বোতল রাখুন।
অতিরিক্ত পরিশ্রম না করা : কর্মজীবী মহিলাদের আধা ঘণ্টার বেশি অনুশীলন করার কোনো প্রয়োজন নেই। কোনোভাবেই অতিরিক্ত ব্যায়াম করে শরীরের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় জিমে ব্যয় করা যাবে না। কারণ এতে হিতে বিপরীতে হতে পারে।
নিজের পছন্দমত মানুষের সাথে কাজ করা : অনেক সময় কাজ করতে করতে একঘেয়েমি আসতে পারে। এমন হলে সেরা বন্ধুর সঙ্গ নেওয়া যেতে পারে। অথবা কারো সঙ্গে কাজ করা যাতে নিজের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হতে পারে। তা ছাড়া সঙ্গীদের সঙ্গে কাজ করা আনন্দায়ক হতে পারে।
ধৈর্য্য ধরা : যে কোন কিছুতেই ধৈর্য্য ধরতে হবে। তা নিজের ক্যারিয়ারে হোক আর অন্য কিছুতেই হোক। ধৈর্য্য না থাকলেই বিপদ। তাই ধৈর্য্য রাখুন।
নিয়মিত চেকআপ : নারীদের যে কোন শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে বা নতুন করে হতে পারে। তাই এ বিষয়ে নারীদের সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চলতে হবে।