রিকশাচালকের এম.এ পাস স্ত্রীকে চাকরি দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বাসস
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:০৪ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার
রিকশা চালকের এম.এ পাস স্ত্রীকে চাকরি দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বগুড়া জেলার রিকশা চালকের এম.এ পাস করা স্ত্রী সিমা নুরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরি দিলেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম কালেক্টর পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির নিয়োগপত্র প্রদান করেন।
বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের ফেরদৌসের বিয়ের সময় তার স্ত্রী সিমা নুর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে দেয়া কথা ফেরদৌস রেখেছিলেন। রিকশায় স্ত্রীকে কলেজে পৌঁছে দিয়ে তিনি নিজে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন। রিকশা চালিয়ে তিনি সিমা নুরের লেখাপাড়ার খরচ জুগিয়েছেন। স্ত্রীকে এমএ পাস করিয়ে আবার স্ত্রীর জন্য চাকরি খুঁজেছেন রিকশা চালানোর পাশাপাশি। এ দম্পতির সংগ্রামী জীবনকথা নিয়ে একটি প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তা নজড়ে পড়ে। সাথে সাথে বগুড়া জেলা প্রশাসককে খোঁজখবর নিতে বলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বার্তা পেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক প্রশাসক সাইফুল ইসলাম সোমবার দ্রুত ব্যবস্থা ননে। গতকাল বিকলে এই দম্পতিকে ডেকে সব কথা শোনেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে আসার পর ভাগ্য বদলে যায় প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র পরিবারটির। রিকশাচালক ফেরদৌস মন্ডললের স্ত্রী এখন বগুড়ার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক। চাকরির সঙ্গে মিলেছে সিমা নুরের স্বামী রিকশা চালক ফেরদৌস মন্ডলের রিকশাা কেনার ঋণ পরিশোধের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বাড়ি সংস্কারের টিন ও আউটসোর্সিংয়েল মাধ্যমে সিমা নুর যেন শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তিতে পৌঁছাতে পারেন সে জন্য তাকে একটি ল্যাপটপ দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, এ সব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। সোমবার সিমা নুরের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেয়া হয়েছে।
নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে সিমা নুর স্কুলে গিয়ে সহকারী স্কুল শিক্ষক পদে যোগদান করেন। তিনি এখন বগুড়ার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার সহকারী শিক্ষক। এখন সিমা নুরের উৎসাহ আরো বেড়ে গেছে। চাকরির পাশাপাশি তিনি এখন বিসিএস-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে চান।
তিনি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা কৃতজ্ঞতার কথা পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানান। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ল্যাপটপ, চাকরির নিয়োগপত্র, রিকশার লোন বাবদ ২৫ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক।