ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ৮:২৯:২৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনিদের ফিরিয়ে দেয়া হবে: ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৫১ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) জেরুজালেমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ত বলেছেন, গাজা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড। ভবিষ্যতে উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনিদের হাতেই থাকবে। গাজায় আগামী সরকার সেখান থেকেই তৈরি হবে। আমরা যে অভিযান পরিচালনা করছি, সেটি শেষ হওয়ার পর গাজা থেকে আর কোনো নাশকতার হুমকি আসবে না। সশস্ত্র সামরিক গোষ্ঠী হিসেবে হামাসও আর গাজা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল আশা করে গাজায় ভবিষ্যতে বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।


এদিকে, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে গ্যালেন্ত বলেছেন, গাজা উপত্যকার উত্তরাংশে ইসরায়েলি স্থল বাহিনীর অভিযান শেষ হয়েছে। দ্রুতই দক্ষিণ গাজায় এ অভিযান শেষ হবে। তিনি আরো বলেছেন, সামগ্রিক অভিযান শেষে উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনিদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

বিবৃতিতে গ্যালেন্ত আরও বলেন, আমরা গাজায় অভিযান বিষয়ক একটি পরিকল্পনা যুদ্ধকালীন সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, তিন মাসের মধ্যে গাজার গুরুত্বপূর্ণ অভিযানগুলো শেষ হবে। তবে, আমরা সম্পূর্ণরূপে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। উত্তর গাজায় অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়, বলা চলে ভারী যুদ্ধ শেষ হয়েছে। দক্ষিণ গাজা বা খান ইউনিসেও শিগগিরই তা শেষ হবে। এই যুদ্ধ পর্ব শেষ হলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, উত্তর গাজায় হামাসের যত সামরিক স্থাপনা ছিল সব গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হামাসের সমরাস্ত্র তৈরির কারখানাগুলো ছিল গাজার মধ্যাঞ্চলে সেগুলোসহ সংগঠনটির গুপ্ত আস্তানাগুলো ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব দক্ষিণ গাজায় আত্মগোপন করেছে। কিন্তু তারা বেশিদিন আড়ালে থাকতে পারবে না। কেননা, দক্ষিণ গাজায় আরও কিছুদিন চিরুনি ও ভারী অভিযান চলবে। তিনি হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ‘সাপের মাথা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তারা আত্মগোপন করেছে।

এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূলের আগ পর্যন্ত সেখানে অভিযান চলবে।

গ্যালেন্ত তার প্রধানমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের নাগরিকদের রক্ষায় যত কিছু করা দরকার তার ক্ষমতা আইডিএফকে দেওয়া হবে। হয়তো সময় বেশি প্রয়োজন হবে। কিন্তু দিন শেষে ফলাফল আসবে একটাই, তা হলো- ইসরায়েলের সম্পূর্ণ বিজয়।

উল্লেখ, যুদ্ধকালীন সরকারের কাছে যে পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছিল সেটি তৈরি করেছিলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান, শিন বেটের (অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী) প্রধান, কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালেন্ত নিজে।