বিশ্বে ৩২০ জন সংবাদিক কারাবন্দি, শীর্ষে এশিয়ার দেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৪ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
পেশাগত কাজের জন্য ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের ৩২০ জন সাংবাদিককে কারারুদ্ধ রয়েছেন। গত ৩০ বছরের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মাসব্যাপী যুদ্ধের মধ্যে ১৭ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠিয়ে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কারাগার হয়ে উঠেছে ইসরায়েল।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিপিজের বার্ষিক ‘জেল শুমারি’ অনুসারে ১৯৯২ সালে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের তথ্য নথিভুক্ত শুরু করার পর সর্বোচ্চ সংখ্যক ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে আটক করে তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে ইসরায়েল। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ৮০ জনেরও বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তবে গাজার দাবি, এ সংখ্যা শতাধিক।
সংগঠনটির রেকর্ডে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ৩৬০ জনের বেশি সাংবাদিক কারাবন্দি হয়েছিলেন। ২০২৩ সালে চীন ৪৪, মিয়ানমার ৪৩ এবং বেলারুশ ২৮ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠিয়ে তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দেশ। এর পরেই ২২ জনকে জেলে পাঠিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাশিয়া, ১৯ জনকে কারাবন্দি করে পঞ্চম স্থানে ভিয়েতনাম এবং ১৭ জনকে বন্দি করে সপ্তম স্থানে আছে ইরান।
সিপিজে বলছে, বর্তমান বিশ্বে সাংবাদিকরা নিয়মিত রাজনৈতিক নেতাদের নিন্দার মুখোমুখি হচ্ছেন। গ্রেপ্তার বেশিরভাগ সাংবাদিক তাদের সমালোচনামূলক কভারেজের কারণে প্রতিশোধ হিসেবে ‘মিথ্যা সংবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের মতো রাষ্ট্রবিরোধী’ অভিযোগের মুখোমুখি দাঁড় হয়েছেন। এছাড়া তালিকার ৬০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয়েছে।
সংগঠনটি বলেছে, ভারতের ২০২৪ সালের এপ্রিলের নির্বাচন সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বড় পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারে।
সিপিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোডি গিন্সবার্গ বলেন, গবেষণায় বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ববাদের বিস্তৃতি উঠে এসেছে। সরকারগুলো সমালোচনামূলক প্রতিবেদন বন্ধ করতে এবং জনসাধারণের জবাবদিহিতা রোধ করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, আমরা একটি সংকটময় মুহূর্তে পৌঁছেছি। সাংবাদিকরা যাতে স্বাধীনভাবে রিপোর্ট করতে পারে আমাদের তা নিশ্চিত করতে হবে। নয়তো আইনের বেড়াজালে সাংবাদিকদের এভাবেই কণ্ঠরোধ করা হবে। এবছর অর্ধেক পৃথিবীতে নির্বাচন, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করলে তা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর হবে।