ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ২১:৩৭:৫০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০৪ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৪ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দুই দিন ধরে ১০ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। টানা দুই সপ্তাহ ধরেই ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা থাকায় জনজীবনে চলছে টানা দুর্ভোগ। বিশেষ করে তীব্র শীতে জর্জরিত হয়ে পড়েছে মানুষ ও জীবজন্তু। জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস  রেকর্ড হয়েছিল। শৈত্যপ্রবাহের পর দুই দিন তাপমাত্রা বাড়লেও লাগাতার শীতে বেসামাল পরিস্থিতিতে পড়েছে এ জেলার মানুষ।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা ও মেঘে ঢাকা পুরো জেলা। কুয়াশা ও বাতাসে ঝরছে হিমশীতল শিশির। শহর ও গ্রামের সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। টানা শীতের কারণে চরম বিপাকে সময় পার করছে শিশু ও বৃদ্ধরা। শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। 


কুয়াশার কারণে সময়মতো কাজে যেতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেছে আয়। অভাব-অনটনে দিন কাটছে অনেক পরিবারের। প্রয়োজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।

৭০ বছরের সলিম উদ্দিন বলেন, খুব জার বাপু। বয়স হয়েছে, এরকম শীত পড়ছে। জারে হাতপা কোকরা হয়ে আসে। শীতের গরম কাপড় পেলে ভালো হতো।


পাথর শ্রমিক জুয়েল, আরিস ও কামাল জানান, টানা শীতে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন তারা। জীবিকার তাগিদে পরিবারের কথা চিন্তা করে শীত উপেক্ষা করেই দিনভর নদীতে বরফগলা পানিতে পাথর তুলতে হচ্ছে তার। জীবিকার অন্য কোনো পথ না থাকায় ঠান্ডা পানিতে কাজ করে পরিবারের খাবারের জোগান দিচ্ছেন। 

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, শৈত্যপ্রবাহের দুই দিন পর ১০ ডিগ্রিতে উঠেছে তাপমাত্রা। রোববার সকাল ৯টায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন এ জনপদ। গতকাল বেলা ১১টার সময় সূর্যের মুখ দেখা গিয়েছিল। তবে সূর্যের সামান্য তাপেও ঠান্ডা কমেনি।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, শীত প্রবণ জেলা হিসেবে প্রতি বছর পঞ্চগড়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত কম্বল বিতরণ করা হয়। এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।