রাঙ্গামাটিতে হানিকুইন আনারসের ব্যাপক ফলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:১২ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে হানিকুইন জাতের আগাম আনারসের ব্যাপক ফলন হয়েছে। মৌসুমের আগে উৎপাদিত আগাম হানিকুইন আনারস চাষ লাভজনক। তাই এ জাতের আনারস চাষে ঝুঁকছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
এবারো মৌসুম শুরুর বেশ আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে পাহাড়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্বাধিক উৎপাদিত আগাম জাতের হানিক্ইুন জাতের আনারস। ‘হানিকুইন’ জাতের আনারস নানিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষ হচ্ছে। নানিয়ারচরে পাইকারদের হাত হয়ে এ আনারস ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে।
পাহাড়ি টিলা ভূমিতে চাষ করা এ হানিকুইন জাতের আনারস অত্যন্ত রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় এর চাহিদাও রয়েছে বেশী। চাহিদা বেশী থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকাররা এ আনারস সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় তা সরবরাহ করছে।
জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে নানিয়ারচর উপজেলাতেই এ আনারস চাষ বেশী হয়ে থাকে। বর্তমানে জেলার নানিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে পাহাড়ে শোভা পাচ্ছে হানিকুইন জাতের আগাম আনারসের সমাহার। এবার এ জাতের আনারসের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখেও আনন্দের হাসি দেখা যাচ্ছে।
নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার আনারস চাষী মো: কাদের বলেন, মৌসুমের আনারসের চেয়ে হানিকুইন জাতের আগাম আনারস চাষের মাধ্যমে আমরা বেশি লাভবান হচ্ছি, প্রতিটি আনারস বাগানেই বিক্রি করেছেন বাগানেই ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে।
পাইকারি মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী জসীম উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে ফলের সরবরাহ কম থাকায় আনারসের দামও বেশি। আগাম আনারস হওয়ায় মৌসুমের চেয়ে এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। মৌসুমে প্রতি পিস ১০-১৫ টাকা কিনলেও এখন কিনতে হচ্ছে ২০-২৫ টাকা দরে। আমরা এগুলো ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, এ বছরে উপজেলার প্রায় ১১০০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে, আধুনিক পদ্ধতি ও পরিমিত হরমোন ব্যবহারের মাধ্যমে মৌসুমের আগেই হানিকুইন জাতের আনারসের ব্যাপক ফলন হওয়ার অনেকে বাড়তি লাভের আশায় কয়েক বছর ধরে এ আনারস চাষে আগ্রহী হয়েছেন কৃষক।
তিনি আরো জানান, হানিকুইন জাতের এ আনারসের আগাম চাষে এক প্রকার হরমোন ব্যবহার করা হয়। এ হরমোন সঠিক সময়ে পরিমিত ব্যবহার করলে মানবদেহের কোনও ক্ষতি হয়না।