ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৪:৫৭ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় পান চাষ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপলোয় দিন দিন পান চাষ বেড়েছে।পান চাষ করে অনেক পানচাষী স্বাবলম্বী হয়েছে। ফলে আগ্রহী হচ্ছে অন্য চাষিরা।

দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরুজ্জামান মিয়া জানান, তিনি সম্প্রতি জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু পানের বরজ পরিদর্শন করে পান চাষীর সাথে কথা বলে তাদের সফলতার বিষয় জেনেছেন। পান চাষীরা তাকে নিশ্চিত করেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  ও মাঠ কর্মকর্তাগণ তাদের পান চাষের বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন। ফলে এ পান চাষীরা  আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারে পান চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করছেন। শূন্য থেকে এ উপজেলায় এখন ৪৪টি প্রাণের বরজ হয়েছে।এসব পানের বরজের মালিকেরা সকলেই সফলতা অর্জন করেছে। উৎপাদিত পানের  ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় চাষিদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পানচাষ।

জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বর্তমানে পানচাষ করে আসছেন কিছু পানচাষী। আগে পানচাষে তেমন লাভ ছিল না। কিন্তু গেল কয়েক বছর যাবত পানের ভালো দাম পাওয়ায় চাষীরা এখন লাভবান হচ্ছেন।

জেলা ও উপজেলা এলাকার পানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। উৎপাদিত পানের চাহিদা থাকায় এখানকার পান যাচ্ছে দেশের  অন্যান্য জেলাগুলোতে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভ হওয়ায় গত কয়েক বছরে এ এলাকায় পানচাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছরে বাড়ছে পানের বরজ।

জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র  হুমায়ুন বাদশা জানান, ৭ বছর ধরে তিনি ২৮ শতক জমিতে পান চাষ করে আসছেন। চলতি বছরে তার ২৮ শতক জমিতে পান চাষে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত তিনি ৭০ হাজার টাকার পান বিক্রি করেছেন । এ বছরে তিনি আরও কম পক্ষে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার পান বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। এ পান চাষের মধ্য দিয়ে তার সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। তার মত ওই এলাকার অনেকের ভাগ্য বদল হয়েছে পানচাষ করে। পাশাপাশি পান চাষের সঙ্গে জড়িত বড় একটি অংশ কৃষি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে পান চাষে বেশি পুঁজি লাগায় পুঁজির অভাবে নিজের জমি থাকার পরেও সম্ভাবনাময় এ ফসলের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারছেন না পানচাষীরা। স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা ও  প্রশিক্ষণ পেলে পান চাষে আরও লাভবান হবেন বলে দবি করছেন এলাকার পানচাষীরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি বছরে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ২৫ হেক্টর জমিতে ৪৪টি বরজে পান চাষ করেছেন চাষীরা। এবারে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পানের  ভালো ফলন হয়েছে। পাশাপাশি এ এলাকার পানের ব্যাপক চাহিদা থাকায়  ভালো দাম পেয়েছেন পানচাষীরা। উপজেলার মাটি পানচাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন পানচাষে চাষীদের আগ্রহ বাড়ছে। আগ্রহী চাষীদের কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।