ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ৮:৩৬:৪৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অনশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩৭ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বকেয়া আদায়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন পশিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রেড রোডে আম্বেদকরের প্রতিকৃতির কাছে অনশনে বসেন তিনি।

শুক্রবার বেলা ১টার দিকে রেড রোডে আম্বেদকরের প্রতিকৃতির কাছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে আম্বেদকরের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে অনশন মঞ্চে উঠেন মমতা। এদিন মমতার পরনে ছিল কালো পাড় সাদা শাড়ি, কালো শাল, পায়ে সাদা হাওয়াই চটি।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, তিনি ২ দিন অনশন করবেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনশনে বসার দিনই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি সারবেন তৃণমূল নেত্রী। দুই বর্ধমান জেলার সংগঠন নিয়ে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৩টার দিকে অনশন মঞ্চের পাশে হবে বৈঠক।

এদিকে অনশনে বসার ইঙ্গিত পেয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরে তিনি এক ভিডিও বার্তায় জানান, বাংলার মানুষের বকেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলার মানুষকে ন্যায় দিতে যা প্রয়োজন, দ্রুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ভারত সরকার।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গে এক সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তার রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) দিল্লিতে ‘‘জিতবে’’ এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পর সব আঞ্চলিক দলকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসবে।

লোকসভা নির্বাচনের পর আঞ্চলিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে দেশটির বিরোধীদের নিয়ে গড়া ‘‘ইনডিয়া’’ জোট থেকে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বিজেপিবিরোধী জোট ইন্ডিয়ায় জাতীয় কংগ্রেস এবং দিল্লির আম আদমি পার্টিও (এএপি) রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘জনগণ যদি আমাদের সাথে থাকে, তাহলে আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা দিল্লি জয় করবো। নির্বাচনের পর সব আঞ্চলিক দলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এটা করবো।’’

ভারতের ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা। এসব উদ্যোগ ভোটারদের বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে দেশটির সরকার হাতে নিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

দেশটির জনগণকে এসব রাজনৈতিক পরিকল্পনা বিশ্বাস না করার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে কারসাজি করার জন্য এই ধরনের ব্যবস্থাকে বিজেপি ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী।