টেকনাফ সীমান্তে থেমে থেমে গুলি-মর্টার শেলের আওয়াজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৫৭ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
টেকনাফের উনছিপ্রাং সীমান্তের স্থানীয়দের দাবি, সীমান্তের ওপাড়ে ঢেঁকিবুনিয়া এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিগুলো দখল করার পর আরাকান আর্মি ও অন্যান্য বিদ্রোহীরা টেকনাফ অংশে মিয়ানমারের শহর শীলখালী, বলিবাজার ও কুইরখালী দখল নিতে এই হামলা করছে।
এই কারণে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মিয়ানমারের কুমিরখালী সীমান্তচৌকির কাছে ফের গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এপারের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গুলি এসে পড়েছে। এ সময় কেঁপে ওঠে এপারের বসতবাড়ি। সকালে কয়েকটি বাড়ির উঠানে গুলি পাওয়া গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
উনছিপ্রাং এলাকার বাসিন্দারা জানান, সকাল থেকে কুমিরখালীর ঘাঁটি দখল নিতে বিদ্রোহীরা হামলা করছে। মর্টার শেলের বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ও আগুনের ফুলকিও দেখা যায়। বোমা যখন বিস্ফোরণ হয় তখন ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়। এখানো চলমান আছে।
উনছিপ্রাং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ আহমদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি আর মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এখনো ভেসে আসছে। সীমান্তের কাছাকাছি যারা চিংড়ি চাষিদের নিরাপদ স্থানে আসার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সারাদিন গোলাগুলি বন্ধ থাকার পর সন্ধ্যার থেকে ফের ৩০/৩৫ রাউন্ড গোলাগুলি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং-এর উনছিপ্রাং সীমান্তের ওপারে। সেখানে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
উনছিপ্রাং সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা মাহফুজুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে পর পর ৩০/৩৫টি গোলাগুলি হয় ওপারে। আমরা গোলাগুলির বিকট শব্দে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তখন এলাকাবাসী ছোটাছুটি করছিলো।
এদিকে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫ টার দিকে উখিয়ার থাইংখালীর রহমতেরবিল এলাকায় কয়েকটি গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা যায়। এরপর সারাদিন সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।
এরপর শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আবারও শুরু হয়েছে গোলাগুলি ও মর্টার শের নিক্ষেপের শব্দ।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার ৩ শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। মিয়ানমার বাহিনীকে সমুদ্রপথে নিয়ে ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে।