ঢাকা, বুধবার ২৭, নভেম্বর ২০২৪ ৭:১৮:১৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

অসুস্থতার কারণে আনন্দটা অনুভব করতে পারছি না: ডলি জহুর

বিনোদন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ২১ বিশিষ্টজনকে একুশে পদক-২০২৪ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় আছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেত্রী ডলি জহুর। অভিনয়ে অবদান রাখার জন্য একুশে পদক পাচ্ছেন তিনি।

একুশে পদক-২০২৪ তালিকা প্রকাশের পর  ডলি জহুর বলেন, এই সম্মাননা আসলেই বেশ আনন্দের। তবে আমি শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আমার করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে আনন্দটা অনুভব করতে পারছি না।


এর আগেও ২০২২ সালেও একবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ডলি জহুর। সেবার বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সে সময় এক ভিডিও বার্তায় নি‌জের শারী‌রিক অবস্থার কথা জা‌নি‌য়ে ব‌লেছিলেন, আমার তেমন কিছু হয়‌নি, অল্প ঠান্ডা লে‌গে‌ছে। দ্রুত সুস্থ হ‌য়ে উঠ‌ব। দুই বছরের মাথায় ফের করোনা আক্রান্ত হলেন তিনি।

মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ডলি জহুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৭৪-৭৫ সালের দিকে মঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। পরে টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এখন পর্যন্ত এক শ’ ৬০টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। এবার পেলেন একুশে পদক।


প্রসঙ্গত, ডলি জহুর ছাড়াও এবার একুশে পদক পাচ্ছেন- ভাষা আন্দোলনে মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। শিল্পকলায় সংগীতে জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শুভ্র দেব, নৃত্যকলায় শিবলী মোহাম্মদ, এম এ আলমগীর, আবৃত্তিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা), রূপা চক্রবর্তী, চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। শিল্পলায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী।সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ। ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফুর রহমান রিটন, মিনার মনসুর ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর)। শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু।