ফুটবলপ্রেমী ক্রোয়েশিয়ান প্রেসিডেন্ট কলিন্ডা গ্র্যাবার
সালেহীন বাবু
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০২:৩৮ এএম, ৯ জুলাই ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০৭:১৯ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার
বিশ্বকাপ ফুটবলে সবাইকে অবাক করে একের পর এক অঘটন ঘটিয়ে যাচ্ছে ক্রোয়েশিয়া। সর্বশেষ রাশিয়ার বিপক্ষে জয়ে ২০ বছর পর বিশ্বকাপের সেমিতে পৌঁছেছে দলটি। এমন আনন্দে মাঠে থাকার পাশাপাশি দলটিকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন দেশটির নারী প্রেসিডেন্ট।
নাম তার কলিন্ডা গ্র্যাবার কিতারোভিচ। নামে তাকে অনেকে না চিনতে পারলেও কিছুদিন আগে ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া ছবি দেখলেই অনেকে কলিন্ডাকে সহজেই চিনতে পারবে।
কলিন্ডা গ্র্যাবার কিতারোভিচ বর্তমানের সবচেয়ে লাস্যময়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে যার পরিচিতি। আকর্ষণীয় রূপের সুবাদে গোড়া থেকেই আলোকচিত্রীদের লেন্স সব সময় তাকে খুঁজে বেড়ায়। কিছুদিন আগে বিকিনি শোভিত কলিন্ডার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুফান তোলে। রাতারাতি আলোড়ন পড়ে যায় মিডিয়ায়। খোদ কলিন্ডা এ নিয়ে বিব্রত অবস্থার মধ্যে পড়ে যান।
অনেকের মতে, বিশ্বে এমন রূপসী এবং যৌন আবেদনময়ী রাষ্ট্রনেতা এ যাবত দেখা যায়নি। সৈকতে অবসর যাপনের সময় প্রেসিডেন্টের লাস্যময়ী রূপ ঠিক কবে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল, সেই ব্যাপারে এখনও না জানা গেলেও ভাইরাল ছবিগুলোর বদৌলতে কলিন্ডা যেন বিশ্বব্যাপী আরও পরিচিত হয়ে উঠেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। সে বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ক্রোয়েশিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রথম নারী তথা দেশের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন কলিন্ডা গ্রাবার-কিতারোভিচ। পরের দিন থেকেই নিজের কার্যভার সামলাতে শুরু করে দেন জনপ্রিয় এই নেত্রী।
১৯৯৬ সালে জ্যাকভ কিতারোভিচের সঙ্গে বিয়ে হয় কলিন্ডা গ্রাবারের। তাঁদের দুই সন্তান, মেয়ে ক্যাটারিনা (১৭) এবং ছেলে ল্যুকা (১৫)। কলিন্ডা ক্রোয়েশিয়ান ছাড়াও ইংরেজি, স্প্যানিশ ও পর্তুগীজ ভাষায় দুরস্ত। এছাড়া জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও ইতালিয়ান ভাষা তিনি বুঝতে পারেন।
এবার বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি শটে রুশদের হারায় ক্রোয়েটরা। সে সময় মাঠের গ্যালারিতে প্রিয় দলের জয়ের আনন্দে সাক্ষী হন কলিন্ডা। শুধু মাঠেই নন পরে প্রিয় দলের খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমে যেয়ে প্রত্যেকের সাথে ব্যাক্তিগত ভাবে অভিনন্দন জানান। ফুটবল দলের সম্মানে পার্টিরও আয়োজন করেন সেখানে।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, সব খেলোয়াড়দের সাথে কলিন্ডাও আনন্দ উৎসবে মেতেছেন। এর আগে ক্রোয়েশিয়ার শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত করার পর মাঠে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই ব্যক্তিগত বিমানে চড়ে রাশিয়ায় পৌঁছান তিনি। বিমানে অন্যদের সঙ্গে মজা করতে করতেই রাশিয়ায় পৌঁছান কোলিন্ডা। মাঠেও দেশের জার্সি পরে মদ্রিচদের খেলা উপভোগ করেন তিনি।
সেমিফাইনোলের ম্যাচটিতেও দলের সাথে থাকবেন কেলিন্ডা। প্রিয় দলকে নিয়ে এখন অনেকটাই আশাবাদী এ প্রেসিডেন্ট। একজন রাষ্ট্রপ্রধান হয়েও খেলার প্রতি তার যে আকর্ষণ আর যে সম্মান তিনি ক্রোয়েশিয়া ফুটবল দলকে দিচ্ছেন তা এই দলের জন্য বাড়তি একটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বৈকি।