বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: প্রিয়ন্তী এখন শুধুই স্মৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:২৯ পিএম, ১ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার
জারিন তাসনীম খান প্রিয়ন্তী
রাজধানীর বেইলি রোডে গতকালের অগ্নিকান্ডে মৃত্যু হয়েছে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুরের বাসিন্দা জারিন তাসনীম খান প্রিয়ন্তীর। মুন্সীগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ইংরেজি সম্মান শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রিয়ন্তী এখন শুধুই স্মৃতি।
একদিন আগে গত বুধবার কানাডা থেকে ঢাকা এসেছিলেন প্রিয়ন্তীর বড় বোন তাসনোভা খান সুহা। বোনের সাথে দেখা করতে বাবা অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন খান, মা মেহেরুন্নেসা ও বড় ভাই সাজেদ হোসন পিয়ালের সঙ্গে ঢাকার ইস্কাটনে গিয়েছিলেন প্রিয়ন্তী।
সেখান থেকেই সুহা তার মেয়ে সায়মা ও বোন প্রিয়ন্তীসহ মামী শাশুড়ীর সাথে বৃহস্পতিবার রাতে ডিনার করতে গিয়েছিলেন বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই’ নামের রেস্তোরাঁয়। আগুন লাগার পর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের দ্বিতীয় তলার ওই রেস্তোরাঁটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এই সময় সুহাসহ তিনজন সেখান থেকে বেরুতে পারলেও ছিটকে যান প্রিয়ন্তী। আর বেরুতে পারেননি তিনি। আগুনে পুরে মর্মান্তিকভাবে মারা যান প্রিয়ন্তী।
তার মৃত্যুর খবর মুন্সীগঞ্জে ছড়িয়েছে পরলে শোকের ছায়া নেমে আসে সহপাঠী, শিক্ষক ও স্বজনদের মাঝে। স্বজনরা তাদের বিনোদপুরের বাড়িতে অপেক্ষা করলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখানে এসে পৌঁছেনি প্রিয়ন্তীর মরদেহ।
প্রিয়ন্তীর ভাই সাজেদ হোসন পিয়াল জানান, ঘটনার সময় আগুন দেখে ঘাবড়ে যায় প্রিয়ন্তী। ঘটনার পরপরই সাড়ে ৪ বছরের সায়মাকে নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যান সুহার মামী শাশুড়ী। তবে সুহা বোন প্রিয়ন্তীকে নিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভবনের উপর থেকে হুড়োহুড়ি করে লোকজন নামার কারণে তার হাত থেকে ছুটে যায় প্রিয়ন্তীর হাত। এসময় ধোয়ায় অন্ধকার হয়ে পড়েছিল এলাকাটি। ফলে আজীবনের জন্য হারাতে হয় প্রিয় বোনকে।
অগ্নিকান্ডে নিহত প্রিয়ন্তী এইচএসসি পাস করেছেন প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। তার সাবেক এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কেউ মেনে নিতে পারছে না প্রিয়ন্তীর এই করুণ মৃত্যু।