প্রায় ৯ ঘণ্টা পর ডেমরার আগুন নিয়ন্ত্রণে
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ২২ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
রাজধানীর ডেমরার ক্রীড়া সামগ্রীর গোডাউনে লাগা আগুন ৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সাড়ে ৮টার পর ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি যোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীও। এদিকে, আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।
এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) ভোরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লেগে যায়। এ ছাড়া ভবনটিতে সরু সিঁড়ি, ভবনের নিচে যে ওয়াটার রিজার্ভার থাকার কথা ছিল সেটিও নেই।
ভবনটির তিনতলায় কাপড়ের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে চার তলাসহ অন্যান্য ফ্লোরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে একে একে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
রাতভর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একদিকে আগুন নেভান তো অন্যদিকে আবারও দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। সেইসঙ্গে কিছুক্ষণ পর পর জানালার কাচ বিস্ফোরিত হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় নৌবাহিনী।
উল্লেখ্য, গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি নামক বহুতল ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৪৬ জন আগুনে পুড়ে মারা যান।
ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক মো. মাইন উদ্দিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থল থেকে তারা প্রাথমিকভাবে ৩ জনকে মৃত অবস্থায়, ৪২ জনকে অচেতন অবস্থায়, জীবিত অবস্থায় ৭৫ জনকে উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সপ্তম তলা ও ছাদে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের নামিয়ে আনতে থাকেন তারা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন জানান, ঘটনার পর আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৩ জন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন ও পুলিশ হাসপাতালে ১ জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া আহত ২২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়।