ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ৭:১৯:৫১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

বৈশাখের শুরু থেকেই প্রচন্ড  তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাজশাহী। দিনের তাপমাত্রা যেন প্রতিদিনই বাড়ছে। বৈশাখের চারদিনে রাজশাহীর তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শুক্রবার দুপুর ২টায় রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ১৭ এপ্রিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর চারদিন আগে ১৩ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় রাজশাহী অঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়ছে যা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।

তিনি জানান, গত বুধবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে পরের দিন বৃহস্পতিবার সামান্য কমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে গত মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, সোমবার ৩৯ দশমিক ৫, রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সাধারণত দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। এ ছাড়া ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর উঠলেই তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। গরম বাতাস যেন শরীরে বিঁধছে আগুনের হল্কার মতো। এতে হাঁপিয়ে উঠেছেন শ্রমজীবী মানুষ। পেটের দায়ে তারা ঘর থেকে বের হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট।

অপরদিকে, অস্বস্তিকর এমন আবহাওয়ায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়রিয়া, হাঁপানি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। এছাড়াও হাসপাতালের আউটডোরে এসব রোগে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে।