ফ্যাটি লিভার: লক্ষণ ও করণীয় জানুন
স্বাস্থ্য ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০০ পিএম, ৭ মে ২০২৪ মঙ্গলবার
সংগৃহীত ছবি
দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ লিভার। শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেওয়া থেকে শুরু করে হজমে সাহায্যকারী উৎসেচক তৈরি, বিপাকের হার নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক জটিল কাজ করে এটি। তাই সুস্থ থাকতে লিভার বা যকৃতের স্বাস্থ্যের দিয়ে নজর দেওয়া জরুরি।
বর্তমানে অসংখ্য মানুষ ফ্যাটি লিভার সমস্যায় ভুগছেন। লিভারে চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত কার্বহাইড্রেট আর ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া, শরীরচর্চার অভাব এই রোগের জন্য দায়ী।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান
চিকিৎসকের মতে, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণত পেটের ডানদিকের উপরিভাগে ব্যথা থাকতে পারে। এমনকী সেই স্থান চিনচিন করতে পারে। একইসঙ্গে পিছু নিতে পারে হজমজনিত সমস্যা। রোগ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গেলে আরও যেসব উপসর্গ ফুটে ওঠে–
অত্যধিক ক্লান্তি
প্রচণ্ড ব্যথা
চোখ-হাত হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি
শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
রুটিন চেকআপেই ধরা পড়ে রোগ
ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত অনেক রোগীর অসুখের প্রথম পর্যায়ে কোনো লক্ষণ দেখা নাও যেতে পারে। এক্ষেত্রে অন্য কোনো কারণে পেটের ইউএসজি করালে রোগ ধরা পড়ে। অনেকসময় আবার রুটিন এলএফটি টেস্টে লিভার এনজাইম বেড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর চিকিৎসক ইউএসজি টেস্ট দিলে ধরা পড়ে ফ্যাটি লিভার।
বাড়াবাড়ি হলেই বিপদ
ফ্যাটি লিভার নীরব ঘাতক। এক্ষেত্রে ঠিক সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে ভেতরে ভেতরে লিভার নিজের কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করে। এমনকী রোগের শেষ পর্যায়ে যকৃত শুকিয়ে যায়। এই সমস্যাকেই লিভার সিরোসিস বলা হয়। তাই বিপদ এতদূর যাওয়ার আগেই সাবধান হোন। নয়তো এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
শরীরে মেদ বাড়লে সাধারণত ফ্যাটি লিভারের আশঙ্কা বাড়ে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ওজন কমাতে হবে। এজন্য প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করুন। আর যদি ব্যায়াম করা সম্ভব না হয় তাহলে অন্তত ৪৫ মিনিট জোর গতিতে হাঁটুন, সাঁতার কাটুন কিংবা সাইকেল চালান। এতেই কমবে ওজন।
খাদ্যতালিকায় নজর দিন
ফ্যাটি লিভারে ভুক্তভোগীরা কোনোমতেই আলু, মিষ্টির মতো রিফাইন কার্ব খাবেন না। একইসঙ্গে ছাড়তে হবে ফাস্টফুড, মদ, কোল্ড ড্রিংকসের মতো পানীয় ও খাবার। এর পরিবর্তে পাতে রাখুন ফল, শাক ও সবজি। সঠিক ডায়েট মানলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়ম মেনে ওষুধ খেলে দ্রুত এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।