মর্গে থাকা মা ও চিকিৎসাধীন শিশুর পরিচয় মিলল
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:১৭ এএম, ১২ মে ২০২৪ রবিবার
সংগৃহীত ছবি
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে দুই দিন ধরে পড়ে থাকা নারী ও চিকিৎসাধীন দুই বছরের শিশুর পরিচয় মিলেছে।
শনিবার (১১ মে) রাতে ভালুকা হাইওয়ে থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিশুটির নাম মেহেদি হাসান ও তার মায়ের নাম জায়েদা (৩২)। তিনি সিলেট সুনামগঞ্জ জেলার দুয়ারা উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রমিজ উদ্দিনের মেয়ে।
পুলিশের বরাতে জানা গেছে, নিহত জায়েদা ভালুকার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় শিশু জাহিদকে নিয়ে বসবাস করতেন। তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল কাপাশিয়ার বাসিন্দা ফারুক মিয়ার সঙ্গে। ফারুক স্থানীয় বাসিন্দা কফিল উদ্দিনের ছেলে। তার ঘরে প্রথম স্ত্রীসহ তিনটি সন্তান রয়েছে। এ কারণে তার দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি পরিবার মেনে নেয়নি। ফলে জায়েদা স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় ভালুকার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
নিহত জায়েদার বড় ভাই মো. রবিন মিয়া বলেন, ফেসবুকে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে আমরা ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি।
এর আগে, গত ৯ মে রাত ৩টার দিকে ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় কোলের শিশুটিকে নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন মা জায়েদা। তিনি প্রাণ হারালেও বেঁচে যায় শিশু সন্তান। বর্তমানে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর রাতে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অজ্ঞাত এক নারী ও শিশুকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসে কয়েকজন ব্যক্তি। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলে পরদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। নাম পরিচয় না পাওয়ায় মরদেহ রাখা হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। এদিকে শিশুটি ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার মাথায় এবং হাতে আঘাত রয়েছে।
এদিকে মা হারা এই শিশুটির চিৎকারে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় নেটিজেনরা আবেগতাড়িত হন এবং পরিচয় জানতে চেয়ে নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করতে থাকেন।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের চিকিৎসক ফারজানা কাওছার বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ফলে অবুঝ শিশুটি কান্নাকাটি করছে। তবে আমরা তার চিকিৎসা নিয়মিত মনিটরিং করছি।