সাগরে লঘুচাপের আভাস, পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়েও
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:০৬ এএম, ২২ মে ২০২৪ বুধবার
ফাইল ছবি।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ বুধবার বা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটা লঘুচাপ তৈরি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরবর্তীতে ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর সেটি ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে।
সাধারণত মে ও জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে থাকে। এ বছরও এ মাসেই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
এখন পর্যন্ত পাওয়া সব ধরনের অবস্থা বিবেচনা করে আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস বলছে, লঘুচাপ তৈরি হওয়ার পর অন্তত তিনটি ধাপের প্রতিটি পার হয়ে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে এ সপ্তাহের শেষেই আঘাত হানতে পারে।
যে পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের:
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তাতে বলা হচ্ছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর - পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ বুধবার বা বৃহস্পতিবারের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এ সংক্রান্ত এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরে এটি ঘণীভূত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, “বুধবারের মধ্যে দক্ষিণ – পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটা লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। যা পরবর্তীতে ঘনীভুত হয়ে নিম্নচাপে এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে”।
“বর্তমান যে প্রেডিকশন তাতে দেখা যাচ্ছে এটা বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা ভারতের পশ্চিম বঙ্গ, উড়িশ্যা এই অঞ্চলের দিকেই এর গতিপথ। তবে এর গতিপথ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে”।
“২২শে মে লঘু চাপ তৈরি হলে, ২৩ বা ২৪শে মের মধ্যে তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে ২৪শে মে রাতে বা ২৫শে মে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে” বলেন মি. ফারুক।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কোন সতর্কতা দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি জানান, “লঘুচাপ তৈরি হওয়ার পরে ওয়ার্নিং দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে”।
তবে, কোন এলাকায় এটি আঘাত হানতে পারে এমন প্রশ্নে মি. ফারুক জানালেন, “ প্রতিনিয়ত এটার গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে, রাতে একটা গতিপথ থাকছে আবার সকালে আরেকটা হচ্ছে”।
“ অর্থাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত না লঘুচাপ তৈরি হয়ে সেটা নিম্নচাপে রূপ নেয় ততক্ষণ পর্যন্ত তার আগের সব গতিপথ পরিবর্তন হবে। যখন নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে তখন গতিপথ স্থির হবে। তখন স্পষ্টভাবে বলা যাবে, এটা কোন এলাকায় বা স্থানে আঘাত হানতে পারে ”।
তিনি বলেন, “যখন এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে এর নাম হবে রেমাল। এটি ওমানের দেয়া নাম। আরবি শব্দ, এর অর্থ বালু। তবে, এই নামে আফগানিস্তানে একটি শহর আছে। সেই শহরের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে”।