ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ১৯:২৩:৪৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সীমান্তে নতুন করে ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:১২ এএম, ২৫ মে ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর প্রবল সংঘাতের মুখে রাজ্যটির প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। চলমান সংঘাতে সেখানকার বেসামরিক লোকজনকে হত্যা ও তাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগও মিলছে।
শুক্রবার (২৪ মে) এ তথ্য দিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রসেল।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এলিজাবেথ থ্রসেল সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে সম্প্রতি রাখাইনের বুথিডং ও মংডুর কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নাফ নদী সংলগ্ন একটি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন আনুমানিক ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা।
সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার এ মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, মংডুতে লড়াই চলছে। সেখানে সামরিক বাহিনীর একাধিক চৌকি আছে। এছাড়া এলাকাটিতে রোহিঙ্গাদের একটা বড় অংশ বাস করে। আতঙ্কজনক এ পরিস্থিতিতে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকেরা আরও একবার হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের শিকার হচ্ছেন। তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তাই তারা আবারও বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন এলিজাবেথ থ্রসেল। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। এর আগের সহিংসতার সময় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে তারা। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ফলকার টুর্ক বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ‘যারা সুরক্ষা খুঁজছেন, তাদের তা দেওয়ার’ অনুরোধ করেছেন। একইসঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুধু জাতিসংঘই নয়, মিয়ানমারের সংঘাত পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে সতর্ক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশ। বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো বলছে, ‘সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার মুখে হাজারো বেসামরিক নাগরিক বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বেসামরিক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবাদমান সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’