প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে মেক্সিকো
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:২৫ পিএম, ৩ জুন ২০২৪ সোমবার
সংগৃহীত ছবি
মেক্সিকোর জাতীয় নির্বাচনে এগিয়ে থাকা প্রার্থী ক্লদিয়া শিনবাউম ঐতিহাসিক জয়ের মাধ্যমে দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন, কেন্দ্রফেরত জরিপে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
জরিপকারীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির ৬১ বছর বয়সী সাবেক এই মেয়র রোববারের নির্বাচনে ৫৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হবেন।
এমনটি হলে মেক্সিকোর ক্ষমতাসীন মোরেনা পার্টির প্রাথী শিনবাউম তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সেনেটর ও ব্যবসায়ী শোচিত গালভেজকে বড় ব্যবধানে হারাতে যাচ্ছেন।
মোরেনা পার্টি ইতোমধ্যে জয় দাবি করলেও গালভেজ তার সমর্থকদের আনুষ্ঠানিক ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবারের শুরুতেই নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ নির্বাচনে দেশটির ভোটাররা মেক্সিকোর কংগ্রেসের সব সদস্যদের এবং আটটি রাজ্যের গভর্নরদেরও নির্বাচিত করছেন। পাশাপাশি এদিনের ভোটে মেক্সিকো সিটির স্থানীয় সরকারও নির্বাচিত হবে।
এসব নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে মেক্সিকোজুড়ে একের পর এক সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতায় ২০ জনেরও বেশি স্থানীয় প্রার্থী নিহত হয়েছেন বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। তবে এসব হামলার ঘটনায় ৩৭ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন।
শিনবাউম একজন বিজ্ঞানী। তিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেক্সিকো সিটির মেয়রের দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের আর্শীবাদপুষ্ট প্রার্থী।
প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওব্রাদরের দল মোরেনার সভাপতি মারিও দেলগাদো শিনবাউমের প্রত্যাশিত জয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছেন, ‘এটি আমাদের দেশের ইতিহাসে একটি চমৎকার মুহূর্ত।’
লোপেজ ওব্রাদর ২০১৮ সাল থেকে মেক্সিকোর ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি আর শীর্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। কারণ মেক্সিকোর সংবিধান অনুযায়ী একজন প্রেসিডেন্ট শুধু ছয় বছরের এক মেয়াদেই ক্ষমতায় থাকতে পারেন।
শিনবাউম বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ওব্রাদরের অনেকগুলো সফল কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি নিজের প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। গত ছয় বছরে লাখ লাখ মেক্সিকান কীভাবে দারিদ্র থেকে বের হয়ে এসেছেন মোরেনা পার্টি প্রচারণায় তাতেই বিষয়টিতেই বেশি জোর দিয়েছে।
মোরেনা বলেছে, ন্যূনতম মজুরি দ্বিগুণেরও বেশি করার মতো নীতির কারণে দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।