ঢাকা, শুক্রবার ১৮, অক্টোবর ২০২৪ ১০:০৮:৫৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

উত্তরায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস, তরুণীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:৫১ এএম, ৯ জুন ২০২৪ রবিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর উত্তরায় এক তরুণীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) জানালার সঙ্গে চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই তরুণীকে পাওয়া যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত ওই তরুণীর নাম চৈতী মজুমদার (২৫)। তিনি যশোরের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চিত্তরঞ্জন মজুমদারের মেয়ে। পেশায় তিনি একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। সাভারের জিরাবো এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন প্ল্যানিং ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।

জানা গেছে, উত্তরা ৫ নং সেক্টরের ৩ নং সড়কের ৪০ নম্বর বাড়িতে চৈতী মজুমদার (২৫) ও অভিষেক দাস (৩২) স্বামী–স্ত্রী পরিচয়ে দুই মাস ধরে বসবাস করে আসছিলেন। বাসার মালিক সরকারি প্রকৌশলী মো. শাহিদুল ইসলাম। স্বামী–স্ত্রী পরিচয়ে থাকলেও তারা প্রেমিক–প্রেমিকা ছিলেন বলে জানা যায়।

থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চৈতী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এ কারণে অভিষেককে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো।

ভবনটির আশেপাশের বাসিন্দারা জানান, অভিষেক ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছিলেন। তার চিৎকার শুনে দরজার তালা ভেঙে চৈতীকে জানালার সঙ্গে চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে চৈতীর বাবা চিত্তরঞ্জন মজুমদার বলেন, আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি আমার মেয়ে নাই! মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানতাম চৈতী তার বান্ধবীর সঙ্গে থাকে। কিন্তু আসলে যে অন্য ঘটনা, সেটি বুঝতে পারিনি। আমি হত্যার বিচার চাই। এটি শতভাগ পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

এ ঘটনায় তার কথিত প্রেমিক অভিষেক দাস ও তার বন্ধু সাগরকে (৩১) হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মাহমুদা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, নিহতের গলা ছাড়া অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।