শিশু অধিকার লঙ্ঘন করেছে মিয়ানমার
অনলাইন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ০৩:৪৯ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৮ রবিবার | আপডেট: ১২:৩৭ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার
রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানে জাতিসংঘের শিশু অধিকার কনভেনশনের শর্ত লঙ্ঘন করেছে মিয়ানমার। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন নরওয়ের নিয়োগ করা আইনি বিশেষজ্ঞরা এ অভিমত দেন।
বিশেষজ্ঞরা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর গবেষণা বিশ্লেষণ করে এসব আলামত পেয়েছেন। গত বছর আগস্টের শেষ দিকে শুরু হওয়া ওই অভিযানে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। যাদের অর্ধেকের বেশি শিশু। জাতিসংঘ মিয়ানমারের ওই অভিযানকে জাতিগত নির্মূলের বাস্তব ও জ্বলন্ত উদহারণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ওই নির্মূল অভিযানে জাতিসংঘ কনভেনশনের শিশু অধিকারের অন্তত সাতটি ধারা লঙ্ঘন করেছে মিয়ানমার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর অভিযানকে ইতিবাচকভাবে সহায়তা দিয়েছে দেশটির সরকার। এমনকি নৃশংস অভিযানের জন্য দেশটির সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে নিবৃত্ত করা কিংবা নিন্দা করেছে বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
১৯৯১ সালে শিশু অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের কনভেনশনে সই করেছে মিয়ানমার। কাজেই সে অনুসারে দেশটি এ আইন মানতে বাধ্য।তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
জাতিসংঘের কনভেনশন অনুসারে সহিংসতা, নির্যাতন, অবজ্ঞা, যৌন ও অন্যান্য হয়রানি, আটকাবস্থা এবং অমানবিক আচরণ থেকে শিশুদের সুরক্ষা দেয়নি বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার।জাতিসংঘকে তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা লঙ্ঘন করে নির্বিচারে রোহিঙ্গা শিশুদের হত্যা, নির্যাতন, দুর্ব্যবহার ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা চালিয়েছে।
প্রতিবেদনের সহ-লেখক ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইনের ইমেরিটাস অধ্যাপক গুয়া গুডইউন গিল বলেন, শিশু অধিকার লঙ্ঘনের যে তালিকা আমরা পেয়েছি, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ না। এখানে কেবল মারাত্মক লঙ্ঘনগুলোই তুলে ধরা হয়েছে। এতে একই ধরনের আরও সহিংসতা থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স সেটি দেখতে সক্ষম হয়েছে।
তথ্যসূত্র - রয়টার্স, বিবিসি