বিএনপি ‘ব্লেম গেমে’ নেমেছে : প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪.কম
প্রকাশিত : ১১:০৫ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৮ সোমবার | আপডেট: ০২:০২ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৮ মঙ্গলবার
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণের কাছে ভোট চেয়ে ব্যর্থ হয়ে ‘ব্লেম গেমে’ নেমে পড়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন দেখলো, জনগণের কাছে গিয়ে সাড়া পাচ্ছে না, তখন একটা ব্লেম গেম শুরু করলো এবং হাতেনাতেই ধরা পড়লো। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ ছিল। তাই তারা তদন্ত করে বের করতে চাইল, কারা ঘটনা ঘটিয়েছে।
অাজ সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে নিজ দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে গত ১৭ জুলাই রাজশাহীর সাগরপাড়া এলাকায় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্বাচনী পথসভায় বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে রাহশাহী জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুর গ্রেফতারের প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একটা জিনিস আপনারা আজকে লক্ষ্য করেছেন, রাজশাহী, সিলেট এবং বরিশালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চলছে। এরমধ্যেই তারা অভিযোগ করলো, তাদের মিছিলে বোমা হামলার প্রেক্ষিতে আমরা যখন নির্দেশ দিলাম যে, হামলাকারী যে দলেরই হোক, যেই হোক তাকে যেন গ্রেফতার করা হয়। কারণ এটা আমরা চাই না। সবাই স্বাধীনভাবে তাদের নির্বাচন প্রচার চালাবে। আমরা সেই পরিবেশ কিন্তু বজায় রেখেছি।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটতে পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তাঁর নির্দেশ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) মিছিলে তিনটা ককটেল ফুটলো, পরবর্তীতে দেখা গেল তাদের নিজেদেরই ভাষায় বেরিয়ে আসলো, এটা নিজেরাই করেছে। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করার জন্য।
সরকার প্রধান বলেন, তারাই ঘটনাটি ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে এবং সেটাকে ব্যাপকভাবে প্রচার করে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি অভিযোগ করেন বলেন, বিএনপি’র এই অভ্যাসটা আছে, নিজেরাই বোমা মারবে, নিজেরাই গাড়ি ভাঙ্গবে, তারপর অন্যের নাম দেবে। এই মিথ্যাচারে বিএনপি’র সঙ্গে কেউ পারবে না। তারা একটা নাটক সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। এটাই তাদের চরিত্র।
তার সরকারের সময়ে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কাছে তাই খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করে লাভ নাই। আমরা ছাড়াতে পারবো না, যতক্ষণ না আদালত তাকে ছাড়ে।
দলের কার্যনির্বাহী সংসদের এই সভায় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করতে হবে। ২০১৪ সালের যে নির্বাচনী ইশতেহারের কতটুকু আমরা বাস্তবায়ন করতে পারলাম সেটা পর্যালোচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম তার চাইতে বেশি কাজ আমরা করেছি। আর আগামীতে বাংলাদেশকে আমরা কিভাবে দেখতে চাই তার প্রতিফলন থাকবে আগামী ইশতেহারে।