ঢাকা, শুক্রবার ১৮, অক্টোবর ২০২৪ ১৬:২৭:৩১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

গোপালগঞ্জে কথা বলছে গাছ, শুনছে মানুষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:৪৯ পিএম, ২২ জুন ২০২৪ শনিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গর্জিনা গ্রামের একটি গাছে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে নারী কণ্ঠ। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। এমন অলৌকিক ঘটনা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে গাছের কথা শুনতে ছুটে আসছেন উৎসুক জনতা। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে আশপাশের এলাকাজুড়ে।

তবে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বলছে গাছ থেকে কথা শোনার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। কেন গাছ থেকে নারীকণ্ঠ শুনতে পাচ্ছেন অনেকেই? এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে মনোবিজ্ঞানে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয়দের দাবি, গত এক সপ্তাহ আগে ওই এলাকার নিরব নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু গাছটিতে ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে গাছ বলে ওঠে ‘আমাকে মারিস না’। পরে সে এ ঘটনা পাশের একজন মহিলাকে বললে, বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দলে দলে এসে গাছে কান পেতে শোনার চেষ্টা করে সবাই। তাদেরও একই দাবি, গাছে কান পাতলে নারী কণ্ঠে কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কেউ সালামের উত্তর শুনছেন, আবার কেউ কান্না বা আর্তনাদের আওয়াজ শুনছেন। আবার অনেকেই বলছেন ভুয়া। কান পাতলে গাছ ও পাতা নড়ার শব্দ শোনা যায়।

এমন ঘটনা আশপাশের কয়েক এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গাছটি দেখতে ও কথা শুনতে ছুটে আসে উৎসুক জনতা। গাছটিকে পবিত্র আখ্যা দিয়ে গাছের চারপাশ ঘিরে বাঁশের বেড়া দেন এলাকাবাসী। কেউ কেউ আবার মানত করে গাছের গোড়ায় ফেলতে থাকে টাকা। পরে কয়েকজন মুসল্লির অনুরোধ বেড়া ভাঙা ও টাকা তোলা বন্ধ হয়। তবে এখনো এলাকাবাসীর দাবি, গাছ সত্যি সত্যিই কথা বলছে। গাছটি দেখতে মাদারীপুর, বরিশালসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকে মানুষ আসছেন।

স্থানীয় রাঘদি ইউপি মেম্বার সাদ্দাম হোসেন, রাঘদি গ্রামের লিয়াকত হোসেন, টেকেরহাট সোহেল মাতুব্বর, গর্জিনা গ্রামের ফরিদ মোল্লা সহ আগন্তুক ও কৌতুহলী মানুষ গাছের গায়ে কান পেতে কথা শোনার চেষ্টা করেন। শুধু বড়রাই নয়, কথা শোনার চেষ্টা করে শিশুরাও। এতে অনেক দর্শনার্থী গাছের কথা শুনতে পান দাবি করেন।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত শারমিন বলেন, শুনে মনে হচ্ছে বিষয়টি প্যারিডোলিয়া হতে পারে। প্যারাডোলিয়া এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক রোগ, এতে কোনো বস্তুগত বিষয়কে ব্যক্তি অর্থবহ করে তুলতে পছন্দ করে। এছাড়া মানুষের মাস হিস্ট্রেরিয়া থেকেও মানুষের মাঝে এমন ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়তে পারে।