গাজা: শিশুর মুখে খাবার তুলে দিতে এক মায়ের আর্জি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:০৬ পিএম, ২৬ জুন ২০২৪ বুধবার
মাত্র ৩ কেজি ওজনের আবদুল আজিজ সম্প্রতি অপুষ্টির জন্য চিকিৎসা নিয়ে আইসিইউ থেকে ছাড়া পেয়েছেন
পাঁচ মাস বয়সী আবদুল আজিজ আল-হোরানি, উত্তর গাজার আল-আহলি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে, তার ছোট্ট শরীরে অপুষ্টির লক্ষণ স্পষ্ট।
মাত্র ৩ কেজি (৬.৬ পাউন্ড) ওজনের, আবদুল আজিজ সম্প্রতি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) থেকে ছাড়া পেয়েছে। সেখানে তাকে গুরুতর অপুষ্টির জন্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তার মা বলছেন তিনি গাজায় তার প্রয়োজনীয় খাবার পাচ্ছেন না।
‘এটি আমার একমাত্র সন্তান। তার ওজন কমপক্ষে ৫ কেজি (১১ পাউন্ড) হওয়া উচিত এবং আমি তার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উদ্বিগ্ন, কিন্তু আমি তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারছি না কারণ সীমান্ত বন্ধ,’ বলেন তিনি।
আবদুল আজিজের গল্পটি অবশ্য ভিন্ন কিছু নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পাঁচ বছরের কম বয়সী আট হাজারেরও বেশি শিশুর তীব্র অপুষ্টি শনাক্ত হয় এবং চিকিৎসা করা হয় - এর মধ্যে ১,৬০০ ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
গত সপ্তাহে, ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইয়েসাস বলেছেন, ‘ইতোমধ্যেই অপুষ্টির কারণে ৩২টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ২৮টিই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।’
জুনের শুরুতে, জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানায়ে, গাজার প্রতি ১০টির মধ্যে নয়টি শিশু তীব্র খাদ্য অভাবের সম্মুখীন, প্রতিদিন দুই বা তারও কম রকমের খাবার খেয়ে বেঁচে আছে তারা।
এতে বলা হয়, ‘মাসব্যাপী অভিযান এবং মানবিক সহায়তার উপর নিষেধাজ্ঞায় খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, যার ফলে বিপর্যয়কর পরিণতি দেখা দিয়েছে’ এবং শিশুদের ‘জীবন-হুমকিপূর্ণ অপুষ্টির ঝুঁকিতে’ রয়েছে।