ঢাকা, শুক্রবার ২২, নভেম্বর ২০২৪ ১৫:১১:৩৯ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ঋত্বিক ঘটকে মুগ্ধ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী দীপ্তি নাভাল

বিনোদন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:২৯ পিএম, ৫ জুলাই ২০২৪ শুক্রবার

ঋত্বিক ঘটকে মুগ্ধ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী দীপ্তি নাভাল

ঋত্বিক ঘটকে মুগ্ধ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী দীপ্তি নাভাল

প্রথমবার ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখে ঋত্বিক ঘটকে মুগ্ধ ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্রের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী দীপ্তি নাভাল। বললেন, ‘মনে গেঁথে গেছে...’।

ঋত্বিক ঘটকের সেরা ছবির তালিকায় প্রথমেই আসে 'মেঘে ঢাকা তারা' ছবির নাম। দেশভাগের যন্ত্রণাকে তিনি যেভাবে ক্যামেরার লেন্সে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তা এককথায় অনবদ্য। আর এতদিন পর কিংবদন্তির সৃষ্টিতে নিজেকে হারালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী দীপ্তি নাভাল। 

তিনি প্রথমবার নিজের চোখে দেখলেন এই অনন্য সৃষ্টি। আর তাতেই একেবারে মন্ত্রমুগ্ধ! ৭২ বছরের অভিনেত্রী সোশাল মিডিয়ায় সুপ্রিয়াদেবীর নীতা চরিত্রের একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখলেন, 'মেঘে ঢাকা তারা – বাংলার ঋত্বিক ঘটকের এই দুর্দান্ত ক্লাসিক সিনেমা কীভাবে আমি মিস করে গেলাম জানি না। এই মাত্র ইউটিউবে সিনেমাটা দেখা শেষ করলাম। তাও কোনও সাবটাইটেল ছাড়া। আমার মনের গভীরে ছুঁয়ে গিয়েছে এই ছবি। 

সেইসঙ্গে কাফকার ‘মেটামর্ফিস’-এর সঙ্গে এই ছবির তুলনা টেনে লেখেন, 'এই ছবি সিনেমাটিক শ্রেষ্ঠত্বের একটি অধ্যয়ন। কোনও অভিনেতা যদি এমন একটা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান, তাহলে তাঁর আর অন্য কোনও চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছেই থাকবে না।' 

দীপ্তি নাভাল হিন্দি চলচ্চিত্রের সক্রিয় অভিনেত্রী, যিনি একজন পরিচালক, লেখক, চিত্রশিল্পী ও ফটোগ্রাফার হিসাবেও সুপরিচিত। দীপ্তি আমেরিকায় বড় হয়েছেন। ভারতের অবাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে তার প্রধান অবদান রয়েছে। তার সংবেদনশীল এবং 'জীবনের খুব কাছাকাছি' ভারতীয় নারীদের ভূমিকার পরিবর্তনের উপর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলি সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত।

দীপ্তি জন্মগ্রহণ করেন, পাঞ্জাবের অমৃতসরে। পরে তার বাবা সিটি ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনার চাকরি পেলে নিউ ইয়র্ক শহরে চলে যান তারা। দীপ্তি নাভাল হান্টার কলেজে ললিতকলায় লেখাপড়া ও গবেষণা করেছেন।

ভারতীয় চলচ্চিত্রে দীপ্তির আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৭৮ সালে, শ্যাম বেনেগালের জুনুন চলচ্চিত্রে। দুই বছর পরে, তিনি সমালোচকদের দ্বারা বহুল প্রশংসিত একবার ফিরে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। তিনি স্মিতা পাতিল এবং শাবানা আজমির, সাথে সাথে, ১৯৮০ -এর দশকে সমান্তরাল সিনেমা মূল অভিনেত্রীর স্থান করে নেন এবং কমলা (১৯৮৪) বা আঁখে (১৯৮৫)র মত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা লাভ করেন।