বৃষ্টির দিনে ঘুমাই আর খিচুড়ি খাই: কেয়া পায়েল
বিনোদন ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ৬ জুলাই ২০২৪ শনিবার
সংগৃহীত ছবি
সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে চলেছেন এমন অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম কেয়া পায়েল। এবার ঈদে দর্শকদের পছন্দের তালিকায় আধিপত্য ছিল তার নাটকের। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রূপকথা’ নাটকটি।কেয়া পায়েল মনের আগল খুলেছেন দর্শকেদের কাছে। বলেছেন অনুভূতি-অভিজ্ঞতার কথা, করেছেন স্মৃতিচারণ, আঁচ দিয়েছেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার।
আপনার অভিনীত ‘রূপকথা’ নাটকটি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এরইমধ্যে কয়েক মিলিয়ন দর্শক দেখেছেন। এটা কি প্রত্যাশিত ছিল?
‘রূপকথা’র পরিচালক জাকারিয়া সৌখিন। এতে আমার সহশিল্পী তৌসিফ মাহবুব। বছর খানেক আগে সৌখিন ভাইয়ের সাথে আমরা ‘উড়াল পাখি’ নামে একটি কাজ করেছিলাম। এরপর থেকেই ওনার কাজের প্রতি ভালো লাগা, আস্থা আসে। তার সঙ্গে আমার অনেক মাইলফলক কাজ আছে। ওই জায়গা থেকে তার প্রতি আমার একটি বিশ্বাস কাজ করত। তৌসিফ ভাইয়ের (তৌসিফ মাহবুব) সঙ্গেও অনেক হিট হিট কাজ আছে আমার। আর এই নাটকের হিরো হচ্ছে গল্প। অনেক বিস্তৃত। ৪০ মিনিটের নাটক অনেক কিছু দেখানো সম্ভব হয় না। এই নাটকটি ১ ঘন্টা ৩৮ মিনিটের। প্লট অনেক বড়। আমরা অনেক কিছু দেখানোর জায়গা পেয়েছি। অভিনয়ের জন্যও প্রচুর প্রশংসা পাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। তৌসিফ ভাইয়া এই নাটকটিতে খুব এফোর্ট দিয়েছেন। এছাড়া আমাদের যে সিনেমাটোগ্রাফার ছিলেন নাজমুল ভাই তিনিও অসাধারণ কাজ করেছেন। যার প্রশংসা না করলেই না। ‘রূপকথা’ মূলত একটি টিম ওয়ার্ক। যেখানে সবার কন্ট্রিবিউশন আছে। এসব কারণেই নাটকটি নিয়ে প্রত্যাশা ছিল।
সম্প্রতি তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে আপনার কয়েকটি নাটক বেশ সাড়া ফেলেছে। আপনাদের দুজনকে দর্শকের এত পছন্দ করার কারণ কী বলে মনে করছেন?
এবার আমার আর তৌসিফ ভাইয়ের ‘রূপকথা’, ‘চাঁদের হাঁট’ ও ‘সামার ব্রেক’ নাটক তিনটি দর্শক লুফে নিয়েছেন। ‘রূপকথা নাটকটি দেখলে দর্শক বিশ্বাস করবেন এটি একটি প্রেমের গল্প। ‘চাঁদের হাটে’ আমরা কমেডির মাধ্যমে সব তুলে ধরেছি। আবার ‘সামার ব্রেকে’ একটি ফ্রেন্ডলি ভাইব উঠে এসেছে। আমার আর তৌসিফ ভাইয়ার মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব ভালো। কাজের ক্ষেত্রে যতটা প্রয়োজন দুজনে ততটাই এফোর্ট দেয়ার চেষ্টা করি। বড় ভাই কিংবা খুব কাছের কো আর্টিস্ট হিসেবে তিনি আমাকে খুব হেল্প করেন। এটা খুব দরকার। আমি মনে করি এ কারণেই আমাদের কাজগুলো দর্শকপ্রিয়তা পায়।
এবার ঈদে আপনার বেশ কিছু কাজ এসেছে। দর্শক হিসেবে এরমধ্যে কোন নাটকটি সবার আগে রাখবেন?
অবশ্যই ‘রূপকথা’। আমার খুব পছন্দের একটি কাজ। এটি সবসময় আমার প্রিয় হয়ে থাকবে। যদিও সবগুলো কাজই কষ্ট করে করা। যেমন ‘মনের আকাশে তুমি’ মহিদুল মহিমের একটি নির্মাণ। খুবই সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন কাজ। এগুলো সব-ই আমার সন্তানের মতো। কিন্তু ‘রূপকথা’ অন্যরকম একটি ভালোলাগার কাজ।
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত নাটকগুলোতে কাজ করার সময় এমন কোনো ঘটনা কি ঘটেছে যা অনেক দিন মনে থাকবে?
‘রূপকথা’র শুটিংয়ের সময় আমার জন্মদিন (১১ মার্চ) ছিল। ওই দিন আমি শুটিং সেটে ছিলাম। জন্মদিনের কথা সবাই জানত। কিন্তু সাড়ে বারোটা বাজার পরও কেউ উইশ করছিল না। একটা সময় মনে হচ্ছিল মিডিয়াতে বোধহয় সবাই স্বার্থপর। সবাই জানে আমার জন্মদিন। তবুও কেউ কিছু করছে না। পরে বুঝলাম আমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিল। বড় করে সারপ্রাইজ দিয়েছে। খুব ভালো লেগেছে। মনে থাকবে অনেকদিন।
অনেকে ওটিটি মাধ্যমে কাজ করছেন। আপনাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কেন?
আমি অভিনয় করতে চাই। কাজের মাধ্যমে দর্শকের কাছে পৌঁছাতে চাই। ওই জায়গা থেকে মনে হয়েছে নাটকে আমি আরাম পাই। এখানে আমার অনেক কাছের মানুষ হয়ে গেছে। অনেকদিন ধরে কাজ করছি। পরিবারের মতো। এই জায়গা ছেড়ে অন্য মাধ্যমে কাজ করতে ইচ্ছে করে না। করব না যে তা না। ব্যাটে বলে মিললে অবশ্যই আমাকে দেখা যাবে। তবে নাটকে আমার ভালো একটা অবস্থান আছে। সেখান থেকে অন্য কোথাও গেলে ওই জায়গাটাও সুন্দর হতে হবে।।
কিন্তু যারা ওটিটিতে কাজ করেন তাদের কথায় মনে হয় দু'হাত খুলে অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ওটিটি মাধ্যম।
হতে পারে। আসলে একেকজন একেক রকম ভাবেন। তবে আমি মনে করি নাটকেও সেটা রয়েছে। এই যেমন ‘রূপকথা’ করলাম। এখানে অভিনয়ের অনেক জায়গা আছে। আসলে অভিনয় তো অভিনয়। মোশারফ ভাই করে এসেছেন। আর আমাদের নাটক কি আজকে থেকে! এখান থেকে অনেক বড় বড় অভিনেতা বেরিয়ে এসেছেন।
সিনেমায় পাওয়া যাবে কবে?
ব্যাটে বলে মিললেই পাওয়া যাবে।
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
এবার ঈদটা বেশ ভালো কেটেছে। কাজগুলো থেকে বেশ সাড়া মিলেছে। আপাতত বিশ্রাম করছি। এরপর কাজের পরিকল্পনা করব।
আপনার অবসরে বৃষ্টির আধিপত্য। কেমন লাগছে?
সঠিক সময়ে বৃষ্টি এসেছে। উপভোগ করছি। বৃষ্টির দিনে ঘুমিয়ে থাকি আর খিচুড়ি খাই। এটা আমার ডেইলি রুটিন।