ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৫, ডিসেম্বর ২০২৪ ০:৫০:১৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

পর্যটক নেই টাঙ্গুয়ার হাওরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০৩ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২৪ মঙ্গলবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জের পর্যটন খাত। বর্ষার মৌসুমে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে হাউস বোট বুকিং করা থাকলেও বন্যা ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে আসতে পারেননি পর্যটকরা।

বিভিন্ন পর্যটন স্পটে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকাজুড়ে সুনসান নীরবতা। হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন রিসোর্টে পর্যটক নেই, ফলে এই সেবায় নিয়োজিতরাও কর্মহীন।

বন্ধ রয়েছে এ সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে পর্যটন খাতে কম হলেও ৫০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই সময়টায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদার ফিশসারিজ খ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, পাহাড় বিলাশ, হাওর বিলাশ, বারেকটিলা, শহীদ সিরাজলেক, লাকমা ছড়া, হাবেলী জমিদার বাড়িসহ বিভিন্ন স্পটে মাসে পর্যটক আসেন পাঁচ থেকে ছয় লাখ। গত দুই ঈদে ভ্রমণপিপাসুদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও গত জুন মাসে বন্যার কারণে পর্যটক না আসায় ঈদে বড় ধরনের ব্যবসাও হাতছাড়া হয়।


এরপর বন্যার ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই শুরু হয় দেশে ছাত্র আন্দোলন ও কারফিউ জারি। বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ। এর পর থেকে পর্যটক না আসায় বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন এই খাতের সঙ্গে জড়িত হাউস বোটচালক, মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

জেলা শহরের নৌকা ঘাট ও তাহিরপুর উপজেলার নৌকা ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, যে ঘাটে নৌকার জন্য ও আগে থেকে বুকিং করা পর্যটকদের নৌকায় উঠতে অনেক ব্যবস্থা ছিল, সেখানে নীরবতা বিরাজ করছে।

 
পর্যটক না আসায় তাঁদের পরিবহনে অপেক্ষায় থাকা পাঁচ শতাধিক হাউস বোট বা নৌকা এখন শহরের সাহেববাড়ি ঘাট, মল্লিকপুর, ওয়েজখালী, তাহিরপুর উপজেলার বাজার ঘাট, রতনশ্রী, এনামুলের ঘাটসহ কয়েকটি ঘাটে নোঙর করা রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত পাঁচ হাজার শ্রমিক, মালিক বেকার সময় পার করছেন।

হাউস বোটের শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন পার করছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। পর্যটকদের আগমনের ওপরই তাঁদের ব্যবসা, জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। এভাবে পুরো মৌসুম গেলে টিকে থাকা কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

পানসী হাউস বোটের পরিচালক মামুন মিয়া বলেন, ‘পর্যটক আগমনের শুরুতেই পর পর তৃতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়ে বুকিং করে রাখা হলেও পর্যটকরা আসতে পারেননি। এরপর কিছু পর্যটক এলেও শুরু হয় কারফিউ। এতে আগতরা কোনোভাবে বাড়ি ফিরতে পারলেও আমাদের সব আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটে। এরপর পর্যটক না আসায় বেকার সময় পার করছি। পরিবার নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।’

সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খায়রুল হুদা চপল জানান, পর্যটন খাতে সুনামগঞ্জে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য যেসব সেক্টর রয়েছে, সেগুলোসহ ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজাউল করিম বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি খুব দ্রুত স্বাভাবিক হবে আশা করছি। আর পর্যটকও আসতে শুরু করবে।’