ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ০:১৮:২৯ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

‘পোস্ট-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রম’ কী, কাদের এই সমস্যা হয়?

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২০ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৪ শুক্রবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

প্রতি মাসে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে নারীদের নানারকম শারীরিক ও মানসিক সমস্যা সামলাতে হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রম বলে। মূলত হরমোনের ওঠানামার কারণেই এমন সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত পিরিয়ড শেষে এসব উপসর্গ ধীরে ধীরে লোপ পায়। পাশাপাশি শরীরে মেলে স্বস্তি। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। 

কারো কারো ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে যে ধরনের শারীরিক বা মানসিক সমস্যা দেখা দেয়, পিরিয়ড শেষ হয়ে গেলেও একই সমস্যা থেকে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যা ‘পোস্ট-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রম’ নামে পরিচিত।

পোস্ট-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রম কী?

লক্ষণগুলো ‘প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রম’-এর মতো হলেও ‘পোস্ট-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রম’ কিন্তু একদমই ভিন্ন বিষয়। স্ত্রীরোগ চিকিৎসকদের মতে, পিরিয়ড শুরুর আগে যেমন শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা যায়, এক্ষেত্রে এমনটা নাও হতে পারে। বরং ‘পোস্ট মেন্সট্রুয়াল সিনড্রম’-এর ক্ষেত্রে মানসিক সমস্যাগুলো আরও বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। অনেকে উদ্বেগ, অবসাদ, মানসিক চাপ, সিদ্ধান্তহীনতার মতো সমস্যায় ভোগেন। 

‘পোস্ট-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রম’ কেন হয়?

মূলত হরমোনের ওঠানামার কারণেই এমন সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের মতে, পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা হঠাৎ বাড়তে শুরু করে। ফলে ঋতুচক্র অনুযায়ী ডিম্বস্ফুটনের সময় না হলেও উপসর্গ দেখে অনেক সময়ে তেমনটা মনে হতেই পারে। ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রম’-এর সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের ‘পোস্ট-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রম’ হওয়া খুবই স্বাভাবিক।


এছাড়া, পোস্ট-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রম’র ক্ষেত্রে ইনসুলিন হরমোনের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। ইনসুলিন হরমোন যে কেবল রক্তে শর্করার ওঠা-নামার সঙ্গে যুক্ত, এমনটা নয়। পিরিয়ডের সঙ্গে অন্য যে হরমোনগুলো জড়িত, সেগুলোর পারস্পরিক কাজকর্মও কিন্তু ইনসুলিনের ওপর নির্ভর করে।

‘পোস্ট-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রম’ এর লক্ষণ

আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে মনমেজাজ বিগড়ে যাওয়া, অল্প কথায় রেগে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। 

মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদও বাড়তে পারে।


শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ব্যথার পরিমাণ বাড়তে পারে। 

যৌনাঙ্গ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে জ্বালা, চুলকানি বা ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের সমস্যাও দেখা দেয়। 

এমনটা হলে পিরিয়ড শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ক্লান্তি কাটানো মুশকিল হয়ে পড়ে।