ঢাকা, রবিবার ২৪, নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭:৪৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা জোরদার করবে ঢাকা-লন্ডন: রিজওয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৩৩ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৪ সোমবার

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা আরো জোরদার করবে। তিনি আজ সোমবার সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ কথা বলেন।

এ সময় পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বৃষ্টির পানি সংগ্রহ, লবণাক্ততা দূরীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগে যৌথভাবে কাজ করার গুরুত্বারোপ করে সুবিধাগুলো যেন মানুষের কাছে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। 

রিজওয়ানা হাসান ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলার জন্য জলবায়ু অর্থায়নকে ১০০ বিলিয়ন ডলার দ্বিগুণ করার এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ভাল বিশ্ব নিশ্চিতে কাজ করার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সংকট যা জরুরিভাবে মনোযোগ প্রয়োজন। তিনি যুব সমাজের সম্পৃক্ততার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) কে আরও কার্যকর করার আহ্বান জানান। 

তিনি বাংলাদেশ যে অনন্য চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে, যেমন পানির লবণাক্ততা, রোহিঙ্গা সংকট, এবং জলবায়ু অভিবাসনের বিষয়টি উল্লেখ করেন।

হাইকমিশনার কুক বাংলাদেশের পরিবেশগত উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতির পুনরুল্লেখ করেন এবং বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্যে পৌঁছাতে যৌথ পদক্ষেপের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।

কুক সুন্দরবন এবং হাকালুকি হাওর সংরক্ষণে ব্রিটেনের চলমান প্রচেষ্টা তুলে ধরেন এবং যুব সমাজের সম্পৃক্ততা ও সবুজ জ্বালানির দিকে রূপান্তরের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। 

পরবর্তী কপ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই, পরিবেশ সংরক্ষণ, এবং বন টেকসই ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার উপর আলোকপাত করা হয়।

উভয় দেশ আরও সহযোগিতার সুযোগ হিসেবে সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং নীতিগত উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।